২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মালয়েশিয়ায় ব্যবসায়ীর ১৬ লাখ টাকা দিচ্ছেন না প্রবাসী বাংলাদেশীরা

মো: ইব্রাহিম মিয়া ও ম্যানেজার মালয়েশিয়ান নাগরিক নন্দ কুমার - ছবি : নয়া দিগন্ত

মালয়েশিয়া ব্যবসায়ীর ১৬ লাখ টাকার বকেয়া বিল পরিশোধ করছেন না প্রবাসী বাংলাদেশীরা। মালয়েশিয়াস্থ কুয়ালালামপুর বাংলাদেশী মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এলমা সার্ভিসের প্রায় ৮৩ হাজার রিংগিত বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৬ লাখেরও বেশি টাকা বকেয়া নিয়ে পরিশোধ করেনি প্রবাসীরা। বিভিন্ন সময়ে বকেয়া নিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাহক এখন গাঢাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ ক্রেতা। রয়েছে বাংলাদেশী প্রবাসী। এছাড়া নেপাল ও পাকিস্তানি প্রবাসীও রয়েছেন।

এ ঘটনায় কুয়ালালামপুরে বালাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

বকেয়া টাকা ফেরত পেতে এবং গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এলমা সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী মো: ইব্রাহিম মিয়া ও ম্যানেজার মালয়েশিয়ান নাগরিক নন্দ কুমার কুয়ালালামপুরস্থ ব্যবসায়ীক কার্যালয়ে শুক্রবার রাত ৮টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

এ সময় নন্দ কুমার বলেন, ২০১৭ সাল থেকে এলমা সার্ভিস রাজধানীর আমপাং এ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মুদির দোকান পরিচালনা করে আসছেন। যার বেশিরভাগই বাংলাদেশী প্রবাসী ক্রেতা। তাছাড়াও পাকিস্তানি ও নেপালী নাগরিক ও রয়েছেন। দোকান থেকে বকেয়া নিয়ে এক সময়ে মোটা অংকের বিল হওয়ার পর তারা সেখান থেকে চলে গেছেন। অনেক চেষ্টা করেও তাদের হদিস পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।

প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী দাউদকান্দি উপজেলার ইব্রাহিম মিয়া জানান, ২০১৭ সাল থেকে আমার ব্যবসা শুরু করি। ২১০৯ থেকে প্রবাসীদের মাঝে বাকি দেয়া শুরু করি তারপর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দু’বছরের ৮৩ হাজার রিংগিত বাকি পড়েছে। এ সময়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক ক্রেতা বিভিন্ন সময়ে বকেয়া নিয়ে সেটা পরিশোধ না করেই আত্মগোপন চলে গেছে। আমি তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি এবং এত দিন ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করেছি। পরে পুলিশ রিপোর্ট করে মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের অবহিত করে আমার পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।

প্রবাসী ফজলুল হক জানান, মুদি দোকানের ব্যবসা করতে গিয়ে বাকি দিতেই হয়। আর সেটা করতে গিয়ে ৮৩ হাজার রিংগিত হারাতে বসেছেন ব্যবসায়ী ইব্রাহিম।

প্রবাসীরা কুয়ালালামপুরে একসাথে ১০ থেকে ২০ জন করে ম্যাচে খাবার খায়। এভাবে জিনিসপত্র নিচ্ছে মাস শেষে বেতন পেয়ে টাকা পরিশোধ করে দেয়। একটা সময় যখন বিল বেশি হয়ে যায় তখন টাকা পরিশোধ না করেই পালিয়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement