পর্তুগালে সাক্ষাৎকারের অপেক্ষায় থাকা অভিবাসীদের জন্য সুখবর
- পর্তুগাল সংবাদদাতা
- ২৪ জুন ২০২১, ১৭:১৮
অনিয়মিত অভিবাসীদের বৈধতা দেয়ার প্রক্রিয়ায় ধীর গতিতেই এগোচ্ছে অভিবাসীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। এ প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় আছেন লক্ষাধিক অভিবাসী। এর মধ্যে রয়েছেন কয়েক হাজার বাংলাদেশী অভিবাসীও। যারা বৈধতার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এখন অপেক্ষায় আছেন সাক্ষাৎকারের।
এ দিকে সেফের সাক্ষাৎকার সিস্টেমটি জঠিল থাকায় অভিবাসীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কঠিন চ্যালেঞ্জের। তবে অনলাইনে সাক্ষাৎকার কখন খুলবে এ ব্যাপারে জানে না কেউই।
শেষবার খুলেছিলো ২৬ মে। যা স্থায়ীত্ব ছিল এবং মাত্র ১৫ মিনিট। তবে এ সময়ের মধ্যেই ফিলআপ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সাক্ষাৎকার। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দেশটিতে জরুরি অবস্তা এবং লকডাউন থাকায় এই অবস্তার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয়।
এর আগে সেফের এই জঠিল অনলাইন সাক্ষাৎকার সিস্টেমের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার হন দেশটির কিছু আইনজীবী। এ সময় তারা সেফের বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করার হুমকিও দেন।
এ ছাড়া ওই আন্দোলনে পর্তুগালের সংবাদ মাধ্যম এবং বিরোধী দলের নেতারাও সরব হয়ে উঠেন। অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলনের ডাক দেয়। ফলে টনক নড়ে সেফ এবং আন্তঃমন্ত্রণালয়ের। বাধ্য হয়ে সংসদে বিবৃতি দেন আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এডোয়ার্ড ক্যাব্রিতা। তিনি বলেন, সেফের এই জঠিল সাক্ষাৎকার সিস্টেমের বিষয়ে তারা অবগত এবং অচিরেই এর সুরাহা হবে বলে তিনি সংসদকে আশ্বস্ত করেন।
এ দিকে সেফ এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ধারাবাহিকভাবে সহজ পদ্ধতিতে কীভাবে সবাইকে সাক্ষাৎকার দেয়া যায় তা নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ চলছে। তারা আশাবাদি বছরের শেষের দিকে এটা প্রয়োগ হতে পারে। সাক্ষাৎকার ক্যাপাসিটি অনুযায়ী সবাইকে ধারাবাহিকভাবে নোটিফিকেশন পাঠাবে। অনলাইনেই সাক্ষাৎকার নিতে হবে। যদিও চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সেফে সকল সাক্ষাৎকার ফিলআপ হয়ে আছে বলে তারা জানিয়েছে।
এ দিকে সেফের এই বিবৃতিতে স্বস্তি নেমে এসেছে অপেক্ষমান অভিবাসীদের মধ্যে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশী অভিবাসী মো: সাহেদ বলেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে ই-মেইল পেয়ে অপেক্ষায় আছি সাক্ষাৎকারের। এর মধ্যে অনেকবার সেফ অনলাইনে সাক্ষাৎকার নিয়েছে। কিন্তু আমি শত চেষ্টা করেও সেই সময় সাক্ষাৎকার নিতে পারিনি। আর আদৌ নিতে পারবো কি-না তা নিয়েও সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, সেফ যদি ধারাবাহিকভাবে সবাইকে নিজ থেকে সাক্ষাৎকার দিয়ে দেয় তাহলে অভিবাসীদের কষ্ট অনেক কমবে। ভোগান্তিও দূর হবে।