নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে চীনে বাংলা নববর্ষ পালিত
- চীন সংবাদদাতা
- ২৩ মে ২০২১, ১০:০১
শনিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বেশ আড়ম্বরভাবে রাজধানী বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস নতুন বাংলা বছর ‘পহেলা বৈশাখ’ উদযাপন করেছে।
অনুষ্ঠানে দূতাবাস পরিবারের সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কূটনীতিকদের পাশাপাশি বেইজিংয়ে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ সময় দূতাবাস প্রাঙ্গণ পাল্কি, কুঁচকির প্যাডাল, বাঁশজাতীয় মাছ ধরার সরঞ্জাম, আল্পনা (সাদা ঐতিহ্যবাহী বাংলা পেইন্ট), রঙিন ফেস্টুন ও ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। দূতাবাসের পরিবারের সদস্য ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’র কোরাস উপস্থাপন করে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে শিশু শিল্পীরা এ উপলক্ষে লোকজ, আধুনিক ও মরমী গানে রচিত বাংলাদেশ সংস্কৃতির মোজাইক চিত্রিত করে গান এবং নৃত্য পরিবেশন করে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। এ সময় দূতাবাসে ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
দেশটিতে সকল বর্ণ ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জনগণ প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল বাঙালি নববর্ষ পালন করে। তবে এ বছর তারিখটি রমজানের মধ্যে পড়ায় দূতাবাস রোজার মাসের পরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ উদযাপন ছয় শতাব্দী আগে শুরু হওয়ার পর থেকে বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
তিনি আরো বলেন, মোগল সম্রাট আকবর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ১৫৫৬ সালে বাংলা ক্যালেন্ডার চালু করেছিলেন। তত্কালীন ‘সুবাহ বাংলা’ অঞ্চলে ভূমি কর আদায়ের সময়কে সহজ করার জন্য, যার বেশিরভাগ অংশ বর্তমান বাংলাদেশের অধীনে আছে। এ দিনটিতে বাংলাদেশে এখন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেছেন, পহেলা বৈশাখকে ইউনেস্কো দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ সময় তিনি বাঙালির প্রতিটি দিনের জন্য মঙ্গল কামনা করে বলেন, নতুন বছরে সবাই শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ করুক।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ধর্ম, জাতি ও বর্ণ নির্বিশেষে এই উৎসব দেশের সমস্ত জনগণকে এক করে দেয়। এটি আনন্দ এবং সম্প্রীতির উৎসব।
এ ছাড়া তিনি তার বক্তব্যে সম্মেলনে যোগদানের জন্য কূটনীতিক, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।