রুহুল আমিন গাজী ও আবুল আসাদের মুক্তির দাবিতে লন্ডনে প্রতিবাদ সমাবেশ

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদের মুক্তির দাবিতে লন্ডনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল (ইআরআই)।

সোমবার পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা ভিন্নমত স্তব্ধ করার জন্য সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও যারা ভিন্ন মত নিয়ে লেখালেখি করেন তাদের নামে মামলা দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।

সমাবেশে শফিকুল ইসলাম জুয়েল বলেন, আওয়ামী সরকার ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। তার অংশ হিসাবে এখনো যারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করছে সেই সব মিডিয়াকে নানাভাবে কোনঠাসা করা হচ্ছে। পত্রিকাগুলো সরকারের ভাষায় কথা না বললে সাংবাদিকদের উপর নেমে আসছে অকথ্য নির্যাতন। ভিন্নমত দমনের পক্রিয়ার মধ্যেই সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা করছে। সরকার গণতন্ত্রের নামে দেশে একদলীয় স্বৈরশাসন চালাচ্ছে।

সমাবেশ মাহবুব আলীখান শূর বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দেশের সাংবাদিকরা এখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। বর্তমানে দেশ বিরোধী যেসব কর্মকাণ্ড চলছে তা গণমাধ্যমে প্রকাশ যেন না হয় এজন্য নানাভাবে দমন পীড়ন চালানো হচ্ছে। দেশের মানুষ অসহায় অবস্থায় দিন পার করছে।

তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যমকে বিকলাঙ্গ করার অপচেষ্টা করছে। মুক্ত গণমাধ্যমের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় আজ আমি আক্রান্ত, কাল আপনিও ছাড় পাবেন না।

সমাবেশে নউসিন মোস্তারী মিয়া বলেন, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসলেই সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন চালায়। এ সরকার প্রমাণ করেছে তারা সংবাদপত্রের জাতশত্রু। এ কারণে সাংবাদিকদের ধরে ধরে জেলে ঢোকাচ্ছে। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে আমরা তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমদ ও ভাইস চেয়ারম্যান আল আমিনের যৌথ পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মাহবুব আলীখান শূর। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম জুয়েল।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সেক্রেটারি নউসিন মোস্তারী মিয়া সাহেব, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ মাসউদুল হাসান, এনভাইরনমেন্টাল অপারেশন নন্দন কুমার দে, এসিস্ট্যান্ট ইভেন্ট সেক্রেটারি ফয়েজ আহমেদ, আব্দুল কাদির জিলানী, আব্দুল কাদির নাজিম, সামিউজ্জামান সিদ্দিকী, আবু জাফর আব্দুল্লাহ ও সায়েম আহমেদ।