২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা

আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা - ছবি : সংগৃহীত

আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৯ জনই করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান প্রদেশ থেকে ভ্রমণ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসে ভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আটজন কোরিয়ান, একজন চাইনিজ। বাকিরা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে অন্যরা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের একজন উহান থেকে এসে ২৬ জানুয়ারি কোরিয়ার রাজধানী সিউলের গাংনামে তার বন্ধুর সাথে সাাৎ করেন এবং রেস্টুরেন্টে এক সাথে বসে খাবার খান। এতে করে তার বন্ধুও অসুস্থ হয়ে স্বাস্থ্য পরীায় ৩০ জানুয়ারি করোনাভাইরাসে পজিটিভ হন। তা ছাড়া জাপানে ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এক কোরিয়ান আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে তার থেকে স্ত্রী-সন্তান সংক্রমিত হয়েছেন।

এ দিকে কোরিয়ায় থাকা বাংলাদেশীদের প্রত্যেকে অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে যাচ্ছেন না। সরকার থেকে মোবাইলে সতর্কতামূলক মেসেজ পাঠানো হয়েছে। ফ্যাক্টরি মালিকের প থেকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মাস্ক ব্যবহার করতে, গণসমাগম বেশি হয় এমন জায়গা, পাবলিক ট্রেন, বাস, শপিংমল ইত্যাদি পরিহার করতে।
আমাদের ফ্যাক্টরিতে দুইজন বাংলাদেশী এই মাসের প্রথম সপ্তাহে চীন ভ্রমণ করে এসেছেন, আতঙ্কের কারণে তাদেরও আলাদা রুমে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোরিয়াতে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়নি, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সবাই চীন থেকে ভাইরাস বহন করে নিয়ে এসে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়েছেন।

বর্তমানে কোরিয়ায় সবাই আতঙ্কিত বিশেষ করে রাজধানী সিউল, ইনছন, আনসান, উইজংবু এসব সিটি এলাকায়। কারণ এই এলাকাগুলো চীনের কাছাকাছি।
ইতোমধ্যে বিদেশী নাগরিকদের জন্য সরকারের প থেকে ১৩৪৫ নম্বরের হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে। কারো জ্বর,সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট এ জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়া মাত্রই নির্ধারিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement