বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়
- নিউইয়র্ক থেকে সংবাদদাতা
- ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:১৭
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রবাসী নাগরিক সমাজের সদস্যরা। তারা বলেন, ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, ব্যাংকগুলো লুটপাট করা হয়েছে, মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। সর্বশেষ দেশের সার্বভৌমত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। বিশ্বব্যাপী দেশরক্ষার আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন প্রবাসের বিশিষ্টজনরা।
সোমবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজায় ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিপি নুরুল হক নুরু ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব জুনায়েদ সাকীর উপর চালানো বর্বোরোচিত হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত প্রবাসী নাগরিক সমাজ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তরা।
লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক শওকত আলীর সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কলামিস্ট মিনা ফারাহ, বিএনপি নেত্রী রীতা রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা আলী ইমাম শিকদার, প্রবীণ সাংবাদিক কাজী শামসুল হক, ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর রেইস্টোরিং ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ইমরান আনসারী, মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ খন্দকার, বিএনপি নেতা গিয়াস আহম্মেদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, কমিউনিটি নেতা কাজী আহমদ হোসাইন নয়ন প্রমুখ।
মিনা ফারাহ বলেন, দলমতের উর্ধ্বে উঠে আমাদেরকে গণভবন, গণতন্ত্র ও গণভোট পুনররুদ্ধার করতে হবে। তিনি আরো বলেন, দেশে জনমানুষের কথা বলছে ভিপি নুর ও জুনায়েদ সাকী। তাদের সমর্থন করতে হবে। তাদেরকে রক্ষায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
রীতা রহমান বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সমালোচনা করা যায়। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলে আপনার আর রক্ষা নেই। ভিপি নুরও আজ ভারতের আধিপত্যবাদেও বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। আজকে ভিপি নুরের পাশে দাড়াতে হবে।
আলী ইমাম বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার উপর জুলুম হচ্ছে। এটি এখন আর দলীয় বিষয় নয়। দলমতের উর্ধ্বে উঠে তার মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলতে হবে।
ইমরান আনসারী বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংক ডাকাত সরকার এখন ভোট ডাকাত সরকারেও পরিণত হয়েছে। এখন ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদ আমাদের সার্বভৌমত্বকে ডাকাতি করবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এনআরসি ও নাগরিকত্ব বিলের নামে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বেও প্রতি চ্যালেঞ্জ ছোড়া হয়েছে। ভারতের উগ্রবাদী আধিপত্যবাদ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় আওয়াজ তুলতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শওকত আলী বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপি আগামী দিনে কীভাবে রাজনীতি করবে জানি না। জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো আপোষ হবে না। প্রয়োজনে আবারো যুদ্ধ হবে। দেশ রক্ষার আন্দোলনে সবাইকে জাপিয়ে পড়তে হবে।