বাংলাদেশে ছাত্রদের নিরাপত্তা রক্ষায় ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ সমাবেশ
- যুক্তরাষ্ট্র সংবাদদাতা
- ০২ জানুয়ারি ২০২০, ১২:৫০
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ ছাত্রদের জীবন রক্ষায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে সোচ্চার ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশে স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের উপর উপর্যুপুরি আক্রমণ ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের উপর সরকার সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে ক্যাপিটাল হিলের সামনে ফোরাম ফর ডেমক্রেটিক রাইটস ইন বাংলাদেশ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।
কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আহসানুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন হাসমত সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মান্নান, আবু বকর সিদ্দিক, মাহমুদুল কবির প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করার অংশ হিসেবে সরকার সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের উপর দিনের পর দিন আক্রমণ করে যাচ্ছে। বিগত ১০ বছরে চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টেলিভিশন, দৈনিক আমার দেশসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় গণমাধ্যম সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন, জেলে পাঠানো সরকারের নিত্যনৈমিত্যিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে রক্ষায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে কার্যকর উদ্যোগ নেবার আহ্বান জানান বক্তারা। এসময় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এখন ভারতের স্বার্থরক্ষার সংগঠনে পরিণত হয়েছে। সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের প্রবীণ সাংবাদিক দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে অপদস্থ করে পুলিশের হাতে দিয়েছে সংগঠনটি। শুধু তাই নয়, দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার সহযোদ্ধারা আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এসব ছাত্রদের রক্ষায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে আওয়াজ তুলতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ইতিপূর্বে দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর প্রকাশ্য দিবালোকে আদালত চত্বরে হামলা করা হয়েছে। ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়ে নির্যাতন চালানো হয়েছে। কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে। আর এসবগুলো করা হয়েছে সরকারের শাসনব্যবস্থাকে দীর্ঘতর করার অংশ হিসেবে।