দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪ বছরে ৪০০ বাংলাদেশী নিহত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:০৮, আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:৩৫
ব্যবসা ও টাকা নিয়ে বিরোধ, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক, ব্যক্তিগত বিবাদ ইত্যাদি কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় গত চার বছরে চার শ’র বেশি বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমেদ চৌধুরী৷
তবে নিহত অনেকের পরিবার মৃত্যুর বিষয় জানান না বলে প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান তিনি৷ বিবাদ মেটাতে বেশিরভাগ বাংলাদেশী ‘স্থানীয় গুন্ডা ভাড়া' করেন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত৷
সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদেশি শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ বাংলাদেশীদের দোকানেও হামলা হয়েছে৷
বাংলাদেশের ঠিক কতজন নাগরিক প্রবাসে আছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই৷ বিএমইটি-র হিসাবে ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটি ২৬ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য দেশের বাইরে পাড়ি জমিয়েছেন৷ তবে কতজন ফিরে এসেছেন সেই পরিসংখ্যান নেই সেখানে৷
খলিল মিয়া নামে এক অভিবাসী বাংলাদেশী জানিয়েছেন, স্থানীয়রা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে থাকে৷ ‘‘যদিও আমরা তাদের চাকরি নিচ্ছি না, তবুও তারা আমাদের বন্দুক নিয়ে হামলা করে,'' বলেন তিনি৷
জোহানেসবার্গে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নেতা আব্দুল আওয়াল তানসেন বলেন, ‘‘অনেক বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ কিন্তু বিচার চাওয়া তো দূরের কথা, আমরা সেগুলো কাউকে জানাইনি, কারণ, আমাদের অনেকেই এখানে অবৈধভাবে বাস করছেন৷''
চলতি শতকের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশীদের অভিবাসন শুরু হয়৷ এখন প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশী সে দেশে বাস করছেন৷ তাদের অনেকেই অবৈধভাবে আছেন৷ অনেক বাংলাদেশী মুদি দোকান দিয়েছেন৷
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের দূতাবাস জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮৮ জন বাংলাদেশীর লাশ দেশে পাঠানো হয়েছে৷ ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সংখ্যাটি মোট ৪৫২৷ ‘‘এখানে যারা মারা গেছেন তাদের প্রায় ৯৫ শতাংশই হত্যার শিকার হয়েছেন৷ অনেককেই তাদের দোকানে গুলি করা হয়েছে,'' বলে জানান দূতাবাসের এক কর্মকর্তা৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে