দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে ইউরোপে মহিলা দলের সমাবেশ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:১৩
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ইউরোপে ( ফ্রান্সে ) প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফ্রান্সে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শামীমা আক্তার রুবী। মিল্টন সরকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফ্রান্স বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মিয়া, প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাজ্য জাতীয়তাদী মহিলা দলের কনভেনার ফেরদৌস রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্রান্স বিএনপির সাবেক সভাপতি এহসানুল হক বুলু, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম সরকার , ডঃ কামরুল হাছান।
টেলি কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আরো যুক্ত হয়েছেন ১/১১ মধ্যপ্রাচ্যে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে টেলিকনফারেন্সের সমন্বয়কারী ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পিএস, সাপ্তাহিক জয়যাত্রার নির্বাহী সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
মহিলা দলের নেত্রীরা হলেন আফসানা আক্তার, প্রভাষক তাছলিমা আক্তার, তানিয়া আক্তার, বিউটি চৌধুরী, সাহেদা আক্তার, নাজলী ফারেসা, সেলিনা আক্তার, আনিকা চৌধুরী, মেহেরা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে জেলের তালা ভেঙে মুক্ত করবে বলে সবাই অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট এ মানবাধিকার সংস্হাগুলোকে নিয়ে বহিঃবিশ্বের বাংলাদেশ দূতাবাস একযোগে ঘেরাও কর্মসূচি হাতে নিতে হবে।
তারা বলেন, যে মানুষটি দীর্ঘ তিন যুগ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আপসহীনভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করলেন, তাকে আজ রাজনৈতিক মামলার রায়ে কারারুদ্ধ করা হলো। বেগম খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ মানেই গণতন্ত্র কারারুদ্ধ।
গত কয়েক দিন আগে শেখ হাসিনার ছাত্রলীগের সোনার ছেলে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে শুধু জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাত্র ৮৬ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে । তাদের ছাত্রলীগ হতে বহিস্কার করেছে কিন্তু চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে জেলে নেয়নি। পক্ষান্তরে দুই কোটি টাকার ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমার মাকে জেলে বন্দী করে রেখেছে। এর বিচার বাংলার মাটিতে হবে। ইনশাল্লাহ।
বক্তারা বলেন, দেশের জনগণ জানে ১৯৭২-৭৫ শেখ মুজিব নিজেই বলেছেন যে সবাই পায় সোনার খনি আমি পেয়েছি চোরের খনি। আজ শেখ হাসিনার যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও সন্ত্রাসলীগের কাছে পাওয়া যাচ্ছে টাকা আর ডলারের খনি।
এদের কাছে মা-বোনরা নিরাপদ নয়। ২ বছর থেকে ৯০ বছরের মা-বোনেরা, শিশুরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। প্রতি মাসে ৪৫০-৫০০ জন শিশু ও নারী ধর্ষিত হচ্ছে। পত্রিকা খুললে দেখা যায় ধর্ষকদের নাম আওয়ামী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সন্ত্রাসলীগ।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রব রানা, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আহমেদ সোহাগ, খোরশেদ মাতবর, ফ্রান্স বিএনপি, জাহাঙ্গীর আলম মিলন, সাধারণ সম্পাদক জিয়ার সৈনিক ফ্রান্স আলম খান যুগ্ম আহ্বায়ক সর্ব ইউরোপিয়ান যুবদল, আজিজ কামাল, আবুল কালাম, সাব্বির, রফিক, মতিউর, ইসমাইল, রাশেদ প্রধান, আলম খান , আলাউদ্দিন, রাসেল, আবু বকর ছিদ্দিক রিংকু, কামরুল হাছান হৃদয়, আলমগীর হোসেন, জিতেন্দ্র সুত্রধর, জহিরুল ইসলাম লিটন, মকবুল হোসেন বিপুলসংখ্যক নেতা কর্মীর উপস্থিতিতে সভা শেষে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
দেশ নেত্রীর মুক্তির কাফেলায় সবাইকে যোগ দেয়ার আহবান রাখেন এবং জেলের তালা ভেঙে দেশনেত্রীকে মুক্তির প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।