যুক্তরাষ্ট্রের ফিনিক্স এওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক ড. কনক সারওয়ার
- নিউ ইয়র্ক থেকে সংবাদদাতা
- ০৪ মে ২০১৯, ০৬:৫৯, আপডেট: ০৪ মে ২০১৯, ০৭:৩৫
প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফিনিক্স এওয়ার্ড গ্রহণ করলেন বাংলাদেশের সাংবাদিক ড. কনক সরওয়ার। সংবাদ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্নয়ন ও রক্ষায় সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ও ভেলভিউ হসপিটালের প্রোগ্রাম ফর সার্বাইভার অফ টর্চার সেন্টার এ পুরস্কারে ভূষিত করে কারানির্যাতিত এ সাংবাদিককে। গত ২ মে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির কাইমেল সেন্টারে এক বর্ণ্যাঢ্য অনুষ্ঠানে তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয় আয়োজক কমিটি। অনুষ্ঠানে সিপিজি, হিউম্যান ফার্স্ট, ক্যাথলিক চ্যারেটির সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় ২০০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও এ বছর সাহসী সাংবাদিকতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ড. আলিয়ান টাগ্নি, ইরানি সাংবাদিক মাজিয়ার বাহরিকে কর্নারস্টোন অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়।
পুরস্কার গ্রহণের পর ড. কনক সরওয়ার এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আমি এই পুরস্কার বাংলাদেশের নির্যাতিত জনগণকে উৎসর্গ করলাম যারা দেশের গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মুক্তগণমাধ্যমের পরিবেশ নিশ্চিতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান।
এওয়ার্ড সাইটেশনে বলা হয়, সাহসী এ সাংবাদিক বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে জনগনের কণ্ঠকে গণমাধ্যমে তুলে আনার ক্ষেত্রে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়াও পরে তিনি সরকারি নিগ্রহের শিকার হয়ে ৯ মাস কারান্তরীণ ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক ড.কনক সরওয়ার রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। এর আগে তিনি ৯ মাস কারান্তরীণ ছিলেন। তিনি সর্বশেষ একুশে টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। জনতার কথা এবং তৃণমুল একুশে সংলাপ নামে দুটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন তিনি। পেশাগত জীবনে তিনি কাজ করেছেন চ্যানেল আই ও জনকণ্ঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলায় অনার্স মাস্টার্স এবং সর্বশেষ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
সাহসী এই সাংবাদিকের বাড়ি ফেনী জেলা সদরে।