কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস উদযাপন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৩২
বরাবরের মত এবারও কানাডার ওন্টারিও প্রদেশে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে তুলে ধরে নানান আয়োজন করা হয়। প্রদেশের বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এসব অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয় গত ২১ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ মার্চ উপলক্ষে। এ বছরের আয়োজনেও ছিলো উৎসবমুখর পরিবেশ।
কানাডার ওন্টারিও প্রদেশের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখার পাশপাশি আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে দেশীয় সংস্কৃতি ও গৌরবময় ঐতিহ্য তুলে ধরছে। প্রতি বছরই তারা ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। এবছরও তার ব্যতিক্রম ছিলো না। এছাড়াও ওন্টারিও প্রদেশে প্রতি সপ্তাহেই বাংলাদেশীরা আয়োজন করে নানান ধরণের অনুষ্ঠান। লক্ষ্য একট্ইা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে সম্মানের সাথে তুলে ধরা।
এসব অনুষ্ঠানগুলিতে অংশ নেয় বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি কমিউনিটির প্রবীন ও নতুন প্রজন্মের সদস্যরা। এতে আয়োজন করা হয় দেশীয় গান, রবীন্দ্র ও লোক সঙ্গীত, কবিতা পাঠ, গল্পের আসর ইতাদি। থাকে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্মৃতিচারণ, দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াকু সৈনিকদের বীরগাথা ইত্যাদি। অনুষ্ঠানে বিশ্বের অন্য দেশ থেকে আসা নবীন-প্রবীন সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা মুগ্ধ হয় বাংলাদেশের গর্বের ইতিহাস জেনে।
এ বছরে এসব আয়োজনেও ছিলো আসে চীনা, তর্কি, আর্জেন্টাইন, ক্যানিাডীয়, ইউক্রেনিয়ান ও হিব্রু সাংস্কৃতির অংশগ্রহণ।
এবারের ২৬ মার্চের আয়োজনে জো সিফালা কর্তৃক পুরস্কার প্রাপ্ত একটি ছবি প্রদর্শিত হয়। এছাড়া বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করে প্রফেসর এফ কাদির। ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে গোলাম রব্বানী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। এবং এ ধরণের আয়োজনের অংশ নেয়ার কারণে সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কিংষ্টন সিটি কাউন্সিলর জিম নীল সিটির মাল্টি কালাচারিজম নীতির প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে আর্ন্তজাতিক ভাষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার উদাররীতি সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক প্রোগ্রাম ম্যানেজার লওরা এমফোর্ড তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। কুইন্স ইন্টারন্যালনাল সেন্টারের পরিচালক সুলতান আল মাজিল ক্যাম্পাসে কালচারাল ইনক্লুসিভনেস বাস্তবায়নে তার দপ্তরের ভুমিকা তুলে ধরেন। আর বরাবরের মত এবারও সব্বাইকে এতে দেশীয় খাদ্য ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।