মার্কিন সিনেট ও কংগ্রেসের সামনে বিক্ষোভ করবে বিএনপি
- ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৩৩
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের সকল স্টেটের সিনেট ও কংগ্রেস অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এছাড়া জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আগামী নির্বাচনের দাবিতে স্মারকলিপি ও মানববন্ধন করবে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির আটলান্টিক সিটিতে নিউইয়র্ক, পেনসেলভেনিয়া, টেক্সাসসহ বিভিন্ন স্টেট বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেখানে আওয়ামী দুঃশাসন-নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং প্রবাসীদের করণীয়” শীর্ষক সেমিনারও অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক বেবী নাজনীন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব আশিক ইসলাম, শিক্ষাবিদ ডঃ শওকত আলী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা বাবুল, টেক্সাস বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ বশীর, পেনসেলভেনিয়া স্টেট বিএনপির সভাপতি শাহ্ ফরিদ, নিউজার্সি স্টেট বিএনপি নেতা, মোঃ গিয়াসউদ্দিন পাঠান, মোহাম্মদ দীদার, মোঃ আলী, মোহাম্মদ রেজা, মোসাদ্দেক মওলা, আবুল মনসুর আখতার, অরিক প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন নিউজার্সি স্টেট (সাউথ) বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোঃ কাউছার। পরিচালনা করেন সদস্য সচিব রহমান বাবুল। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট বিএনপির ঐক্যবদ্ধ বৈঠক এটাই প্রথম।
আশিক ইসলাম বলেন, আমরা প্রবাসে ভালো থাকলেও বাংলাদেশের মানুষ দু:সহ দিন যাপন করছে। আমাদের আর বসে থাকার সময় নেই। এই সরকার আবারো ২০১৪ সালের মতো একটি একতরফা পাতানো নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে সাড়ে ৪ হাজার গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। আসামি করা হয় দুই লাখ ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে। একদলীয় নির্বাচনে জয়লাভের জন্য সরকার এগুলো করছে। তারা বুঝতে পেরেছে বিএনপি নির্বাচনে গেলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো স্টেটের বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের দাবিতে সিনেট ও কংগ্রেস অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও স্মারক লিপি প্রদান করবো। জাতিসংঘের তত্বাবধানে আগামী নির্বাচনের দাবীতে স্মারকলিপি ও মানববন্ধন করা হবে। বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও প্রচার কমিটি গঠনসহ কেন্দ্রের যে কোন নির্দেশ পালনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি স্টেটে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি