তারেক রহমানই আমাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন : কায়াস মাহমুদ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:১৬
অস্ট্রেলিয়া ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কায়াস মাহমুদ বলেছেন, আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন খুব শিগগিরই অনুষ্ঠিত হোক। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা আশা করি, বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হবে এবং তারেক রহমান আমাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।
শুক্রবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস (১৪ ডিসেম্বর) ও মহান বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) উপলক্ষে মেলবোর্ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ল্যাভারটন কমিউনিটি হাবে এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির সদস্য, রাজনৈতিক কর্মী ও বিএনপির সমর্থকেরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বক্তারা শহীদদের অবদান ও আত্মত্যাগের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। একই সাথে ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়, যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তৌহিদ পাটোয়ারী (মেলবোর্ন বিএনপি নেতা) এবং সামসুল আরেফিন বিপুল (মেলবোর্ন বিএনপি নেতা)। তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিএনপির ভূমিকা এবং তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. শরিয়ার ফেরদৌস (বিশিষ্ট চিকিৎসক)।
কায়াস মাহমুদ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশে যে উন্নতির ছোঁয়া আমরা দেখতে চাই, তার জন্য সবচেয়ে বড় অবদান রাখতে যাচ্ছেন তারেক রহমান। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে, যেখানে একদিকে হবে অবকাঠামোগত বিপ্লব, অন্যদিকে জনগণের জীবনযাত্রার মান সুরক্ষিত হবে। তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি বহুলাংশে পরিবর্তিত হবে। দেশের কৃষি, শিল্প, এবং সেবা খাতগুলো অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাবে। দেশের মানুষের জন্য থাকবে নতুন কর্মসংস্থান, নতুন উদ্যোগ এবং উন্নত জীবনযাত্রার সুযোগ।’
কায়াস মাহমুদ আরো বলেন, ‘তারেক রহমানের পরিকল্পনার অধীনে বাংলাদেশে শিগগিরই বিদ্যুৎ, সড়ক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও অন্যান্য খাতে বিপ্লব আসবে। বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আসবে, যা দেশের প্রতিটি গ্রাম-শহরে দ্রুত পৌঁছাবে। সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে, যা দেশের শিল্প এবং কৃষিকে আরো সমৃদ্ধ করবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাতে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হবে এবং দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে একটি উন্নত অবকাঠামো গড়ে উঠবে, নতুন সড়ক, ব্রিজ, হাইওয়ে ও শহুরে অবকাঠামোর বিকাশ ঘটবে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে এবং বিশেষত যুব সমাজের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। তরুণদের জন্য নতুন স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে উঠবে, যা দেশের উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। এই পরিবর্তনগুলো শুধু উন্নতির দিশারী হবে না, বরং দেশের প্রতিটি সেক্টরে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
কায়াস মাহমুদ বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ যদি তারেক রহমানের নেতৃত্বে এগিয়ে চলে, তবে আমরা একটি দারিদ্র্যমুক্ত, আধুনিক, সুশাসিত এবং উন্নত বাংলাদেশ দেখতে পাবো। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ একটি উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা গর্বিত হবো, কারণ তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হবে একটি মানবিক, ন্যায়বিচার ভিত্তিক এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ, যা পৃথিবীজুড়ে একটি আলোকিত উদাহরণ হয়ে উঠবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন খুব শিগগিরই অনুষ্ঠিত হোক, যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যত নেতা নির্বাচিত করতে পারে।’
কায়াস মাহমুদ আরো বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে দারিদ্র্য দূর হবে এবং দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত হবে। তারেক রহমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা দেশ।’
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন জালাল আহমেদ কুমু (প্রতিষ্ঠাতা, মেলবোর্ন বিএনপি)। তিনি তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ ভবিষ্যত গঠনে সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফয়সাল মোহাম্মদ (সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, অস্ট্রেলিয়া ছাত্রদল)।
অনুষ্ঠানের শেষ অংশে একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশাত্মবোধক গান ও অন্যান্য পরিবেশনার মাধ্যমে বিজয়ের চেতনাকে উদযাপন করা হয়। এই আয়োজনটি অতীতকে সম্মান, বর্তমানকে মূল্যায়ন ও ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা জোগানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়।
মেলবোর্ন বিএনপি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ প্রচারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।-বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা