মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মারধরের ঘটনায় দূতাবাসের দুঃখ প্রকাশ
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
- ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৩৪
মালয়েশিয়াস্থ আউট সোর্সিং কোম্পানি এক্সপার্ট সার্ভিস কুয়ালালামপুর (ইএসকেএল)-এ পাসপোর্ট আবেদন জমা দিতে এসে নিরাপত্তা প্রহরীর দ্বারা সেবাপ্রার্থী প্রবাসীদেরকে জামার কালার চেপে ধরে মারধর করা হয়েছে। প্রবাসীদের ওপর মারধরের ঘটনায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের গোচরীভূত হওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার দুপুরে এ ঘটনার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে। এ ঘটনার পর সরেজমিনে সাংবাদিকেরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কর্তব্যরত সিকিউরিটি বাধা দিয়েছে।
এদিকে, হঠাৎ করে এমআরপি পাসপোর্টের প্রিন্টিং সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় ই-পাসপোর্ট সেবা গ্রহণের নিমিত্তে প্রতিদিন হাজার হাজার সেবাপ্রত্যাশী দূতাবাসের নিয়োগকৃত বেসরকারি কোম্পানি ইএসকেএল অফিসে ভীড় জমাচ্ছেন। ধারণক্ষমতার বাইরে সেবা প্রত্যাশীদের উপস্থিতির কারণে কন্স্যুলার সেবাপ্রদানসহ অন্যান্য স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। ভোগান্তির অবস্থা চরম আকার ধারণ করেছে।
কয়েকজন প্রবাসী অভিযোগ করে বলছেন, তারা জহরবারু, পেনাং প্রদেশ থেকে এসে তারা চার থেকে পাঁচ দিন ঘুরেও পাসপোর্ট আবেদন জমা দিতে পারছেন না।
বুধবার সকালে সরেজমিনে ইএসকেএল-এর সেন্টারে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট সেবা প্রত্যাশীরা বাইরে অপেক্ষা করছেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ছবি তুলতে চাইলে এক সিকিউরিটি তেড়ে আসেন। বার বার হুমকি দিতে থাকেন ছবি ও ভিডিও না করার জন্য। গতকালও সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বাংলাদেশী এক সাংবাদিককে বাধা দেয় এবং লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে।
সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কিছু ভোক্তভোগী পাসপোর্টের দূর্দশার অবস্থা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক্সপাট সার্ভিসেস কুয়ালালামপুর (ইএসকেএল)-এর সাউথগেটের ই ব্লকে একজন মালয়েশিয়ান সিকিউরিটি গার্ডের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে লাইনে থাকা একজনকে মারতে যাচ্ছেন। কয়েকজন শার্টের কলার ধরে টানাটানি করছে। কয়েকজনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করছেন। এই মারধরের ঘটনায় প্রবাসীরা তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
সাংবাদিকেরা স্বাধীনভাবে সংবাদ করার স্বার্থে সিকিউরিটি বাধা দেয়ার নিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইএসকেএল-এর পরিচালক (মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং) আরমান পারভেজ মুরাদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আমার কিছুই করার নেই বলে ফোন কল কেটে দেন।’