মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট প্রার্থীদের লাঠিপেটা, প্রবাসীদের ক্ষোভ
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
- ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫৫
মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আসা প্রার্থীদের লাঠিপেটা করায় ক্ষুব্ধ প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক্সপার্ট সার্ভিসেস লিমিটেডে (ইএসকেএল) প্রবাসী ই-পাসপোর্টের সেবা প্রত্যাশীদেরকে জামার কলার ধরে লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় প্রবাসীরা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানান।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়নে ভোগান্তি আরো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এ বিষয়ে কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ করা হলে দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটি খতিয়ে দেখা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী কুয়ালালামপুর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে পেনাং প্রদেশ থেকে পাসপোর্ট সেবা নিতে এসেছেন। তিনি জানান, রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে মধ্যরাতে ইএসকেএলের অফিসে পৌঁছান। সারারাত না ঘুমিয়ে সকালে ই-পাসপোর্টে আবেদনের জন্য লাইনে দাঁড়ান। সকাল ১০টার দিকে যখন ভিড় বেশি হয় তখন দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডরা এসে এলোপাথাড়ি প্রবাসীদের মারধর শুরু করে। তখন প্রবাসীরা ভয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকেন।
অভিযুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক্সপার্ট সার্ভিস কুয়ালালামপুরের (ইএসকেএল) পরিচালক (মিডিয়া এন্ড মার্কেটিং) আরমান পারভেজ মুরাদকে এই বিষয়ে জানতে সরাসরি কল ও ম্যাসেজ দিলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
প্রবাসী কমিউনিটির নেতা মাঝি মিরাজ বলেন, দূতাবাসের পরিবর্তে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইএসকেএলকে পাসপোর্ট ও ট্রাভেল পাস প্রসেসিংয়ের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে প্রবাসীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, পাসপোর্ট নবায়নের দায়িত্ব ইএসকেএলকে দেয়ায় প্রবাসীদের ব্যাক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, হঠাৎ গত ১৯ অক্টোবর কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বন্ধ ঘোষণা দিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, এমআরপি পাসপোর্টের জন্য ফয়েল পেপার শেষ হয়ে যাওয়ায় সব মালয়েশিয়া প্রবাসীকে ই-পাসপোর্ট করতে হবে। ই-পাসপোর্ট করতে গিয়ে প্রবাসীরা পড়ছেন ভোগান্তিতে। ই-পাসপোর্ট করতে হলে অবশ্যই এমআরপি পাসপোর্টের সাথে এনআইডি অথবা জন্মনিবন্ধন কার্ডের তথ্যের সাথে মিল থাকতে হবে। ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রবাসীদের এই তথ্যের গরমিল থাকায় অনেকে এই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারছেন না। এজন্য প্রবাসীরা পড়েছেন উভয় সঙ্কটে। দ্রুত এই পাসপোর্ট ভোগান্তির নিরসনের দাবি জানিয়ে আসছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কমিউনিটির ভুক্তভোগীরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা