০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচনে ২২.৯৪ শতাংশ ভোট পড়া নিয়ে সর্বত্র আলোচনা

-

চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ২২.৯৪ শতাংশ ভোট পড়াকে নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি ভোটারদের অনাস্থা ও অনাগ্রহের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। শাসক দলের নেতারা জানান সরকার পরিবর্তনে ভূমিকা না থাকার কারণে উপনির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের অনাগ্রহের কথা। অন্য দিকে বিএনপি বলছে, মানুষকে নির্বাচনমুখী করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। কেউ কেউ এটাকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অশনিসঙ্কেত বলে মন্তব্য করেন।
গত ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনের পরিবেশ দৃশ্যত শান্তিপূর্ণ হলেও রেকর্ডসংখ্যক কম ভোট পড়েছে। যা ছিল শতকরা ২২ দশমিক ৯৪ ভাগ। নিকট অতীতে জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রামের কোনো আসনে এত কম ভোট পড়েনি। তা ছাড়া এই আসনে সবগুলো কেন্দ্রে ভোট হয়েছে ইভিএমে। ভোট পড়ার এই হার নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে ভোট পড়েছে ৭৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। কিন্তু গত সোমবারের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ভোটারদের আগ্রহ অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়াকে এদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অশনিসঙ্কেত বলে মন্তব্য করেন কেউ কেউ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটারদের মধ্যে এমন একটা ধারণা হয়ে গেছে, ভোট আমি দিই বা না দিই কে পাস করবে সেটা আমরা জানি। এমন ধারণা যখন মানুষের মনে বদ্ধমূল হয়ে যায়, তখন ভোট নিয়ে আর আগ্রহ থাকে না।
বিশ্লেষকদের মতে, সাধারণভাবে বাংলাদেশে ৫০ শতাংশের সামান্য এদিক-ওদিক ভোট কাস্ট হয়। এবার তার অর্ধেক হয়েছে। অর্থাৎ এবার উৎসাহও আগের চেয়ে অর্ধেক হয়ে গেছে। ওই আসনের একাধিক ভোটার ভোট না দেয়ার কারণ সম্পর্কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, নিশ্চিত ছিলাম, ভোট দিলেও ফলাফলে তার প্রভাব খুব বেশি পড়বে না, তাই ভোট দিতে কেন্দ্রে গিয়ে সময় নষ্ট করিনি।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, নজিরবিহীন অনিয়মের কারণেই মানুষ ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে। আমরা খবর পেয়েছি, প্রিজাইডিং অফিসার তার ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে ১০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। আরেকটি বিষয়, একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসনে আমাকে ভোট দেয়া হয় ১৭ হাজার ৬০০। এবার সুফিয়ান সাহেব পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৫। এখন মনে হচ্ছে, তারা প্রোগ্রাম এমনভাবে সেট করেছেন ১৭ হাজারের আশপাশেই আমাদের ভোট দেয়া হবে। এমন অনিয়মের কারণে মানুষ ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছেন। মানুষকে নির্বাচনমুখী করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। এটা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসঙ্কেত।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫ জন। নৌকার প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ২৪৬ ভোট। ধানের শীষের আবু সুফিয়ান পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট। ইতঃপূর্বে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মঈন উদ্দিন খান বাদল ২ লাখ ৭২ হাজার ৮৩৮ ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ান ৫৯ হাজার ১৩৫ ভোট পেয়েছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইফার দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত ঢাকা ওয়াসার কেউ দুর্নীতিতে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা : উপদেষ্টা আসিফ ২২ ফেব্রুয়ারি হাবের নির্বাচন রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে ২ জনকে হত্যা ৪২ লাখ টাকাসহ প্রতারক চক্রের সদস্য গ্রেফতার ডিএমপি কমিশনারের সাথে য্ক্তুরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ তারুণ্যের উৎসবে স্থান পাচ্ছে জুলাই আগস্টের তথ্যচিত্র মৃত্যুবার্ষিকী : রফিকুল ইসলাম আধুনিক অটোমোবাইলস জোন প্রতিষ্ঠার দাবি ওয়েলফেয়ার অব ড্রাইভারস্ এন্ড মেকানিক্সের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগ, আটক ৩ ১০ লাখ টাকার অনুদানের চেক শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর

সকল