চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষের সমর্থনে গণসংযোগ : গৃহস্থ হয়ে ভোট চোরদের ধরতে হবে : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সুশৃঙ্খলভাবে পরাজিত করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গেছে। এবার সবাইকে গৃহস্থ হয়ে ভোট চোরদের ধরতে হবে। তারা শুধু ভোট চুরি করে ক্ষান্ত হয়নি। তারা দেশের সম্পদও চুরি করেছে। যেখানে ভোট চোরের লক্ষণ দেখবেন সেখানে পাহারা বসাতে হবে। জনগণ বিএনপির সাথে আছে। জনগণের অন্তরে ক্ষোভ আর জ্বালা আছে। তারা অপেক্ষা করছে সুযোগের। তাদেরকে সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এই নির্বাচনকে ভোটযুদ্ধ হিসেবে নিয়ে আবু সুফিয়ানকে জয়যুক্ত করতে হবে।
তিনি গত সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ানের ধানের শীষের সমর্থনে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে গণসংযোগ শুরুকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। জনগণ ও ভোটÑ এ দুটোই বিএনপির। আওয়ামী লীগের ভোটও নেই, জনগণও নেই। এটি পরিষ্কার। এই নির্বাচনের প্রার্থী আবু সুফিয়ান একজন ত্যাগী নেতা। জেল খেটে আন্দোলন সংগ্রাম করে তিনি এ অবস্থানে এসেছেন। বিএনপির জন্য তার অবদান আছে। তাই গৃহস্থ সেজে চোর ধরার প্রক্রিয়ায় সবাইকে অবতীর্ণ হয়ে ১৩ জানুয়ারি ধানের শীষে ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের গণজোয়ার প্রমাণ করে ধানের শীষ আগামীতে ১৩ জানুয়ারি জয়ের মালা পড়বে। এই ধানের শীষ শুধু ধানের শীষ না। ধানের শীষ গণতন্ত্রের প্রতীক। এই ধানের শীষ গণতন্ত্র রক্ষার প্রতীক। এই ধানের শীষ মানবাধিকার রক্ষার প্রতীক। আইনের শাসন ফিরিয়ে দেয়ার প্রতীক। আগামীতে এই নির্বাচন আমাদের নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের জন্য এই নির্বাচনী অফিস থেকে সারা দেশে আন্দোলনের জোয়ার ছড়িয়ে দেবে। ইনশা আল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এ সরকারের অধীনে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায় না। বিএনপি জনগণকে ভোট কেন্দ্রে ফিরিয়ে এনে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এই নির্বাচনকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আগামী ১৩ জানুয়ারি ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণ প্রমাণ করে দেবে চট্টগ্রাম-৮ আসনের মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, স্বৈরাচারের পতন চায়, ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। তিনি বলেন, আমরা আশা করব প্রশাসন অন্তত নিরপেক্ষ থাকবে। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপুর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, এনামুল হক এনাম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, মাহবুবুল আলম, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।