হকারদের দখলে মতিঝিলের ব্যস্ত সড়ক
- ০২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় ফুটপাথ ছাড়িয়ে সড়কও এখন হকারদের দখলে। গতকাল দীর্ঘ সময় মতিঝিল দিলকুশা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক পর্যন্ত ফুটপাথজুড়ে হকার বসেছে। ফুটপাথে সাজানো হয়েছে মোবাইল ফোনের চার্জার, কভার, ডেটা ক্যাবলসহ নানা সরঞ্জাম। বসেছে জামাকাপড়, চামড়ার জুতাসামগ্রীর। আইএফআইসি ব্যাংক শাখার সামনে, সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পূর্ব দিকের সড়কে সাজানো হয়েছে বেশ কয়েকটি জুতার দোকান। সড়কে এভাবে বসার কারণ জানতে চাইলে হকাররা জানান, তাদের বসার জায়গা নেই। বিকেলের আগে কেন বসেছেন জানতে চাইলে তারা কোনো জবাব দেননি। ফুটপাথে পণ্যের পসরা ছাড়াও এসব এলাকায় সড়কের পাশ দিয়ে এক বা কোথাও কোথাও দুই সারিতে গাড়ি পার্ক করা হয়েছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ঘোষণা দিয়েছিল যে গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বায়তুল মোকাররম ও মতিঝিলে বিকেল ৫টার আগে হকার বসবে না। কিন্তু বিষয়টা মানা দূরে থাক, বেশির ভাগ এলাকায় সকাল থেকেই হকাররা বসে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, হকার উচ্ছেদ সম্ভব, যখন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সার্বিক সহযোগিতার ভিত্তিতে হকারদের যেখানে সেখানে বসা বন্ধ করা যাবে। কয়েক দিন আগের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের (উড়ালসড়ক) নিচে ও পাশে টানা তিন দিন অভিযান চালিয়ে হকার উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযান শেষ হতে না হতেই তারা আবার বসে যায়।
অন্য দিকে জীবন বীমা ভবন এলাকা থেকে মধুমিতা সিনেমা হল পর্যন্ত বিভিন্ন অফিস, দোকান, হোটেলের সামনে যথেচ্ছভাবে গাড়ি রাখা হয়েছে। সামনে ভ্যানগাড়িতে ফল, খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কিছু হকার। হীরাঝিল হোটেলের দক্ষিণ দিকে সড়কের ওপর দুটি ভ্যান গাড়ি। কাচের সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন দুই ভাই। সোনালী ব্যাংক থেকে পশ্চিম দিকে শরীফ ম্যানশনের সামনে পর্যন্ত ফুটপাথ ও সড়কে দোকানপাট। বাংলার বাণীর সামনে থেকে শুরু করে দৈনিক বাংলার মোড় পর্যন্ত সর্বত্রই হকার আর হকার। হ