২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মিরপুরে গ্যাস সঙ্কট!

-

মিরপুরের ১০ নম্বর, ১২ নম্বর, ১৩ নম্বরের কিছু অংশ থেকে গ্যাসের লাইনে পানি আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিন-চার মাস ধরেই এ সমস্যা ভোগাচ্ছে। চলতি বর্ষা মওসুম শুরু হওয়ার পর থেকে মাঝেমধ্যেই এ ঘটনা ঘটছে। মিস্ত্রি ডেকে গ্যাসের লাইন থেকে পানি বের না করার আগ পর্যন্ত রান্না করা যায় না। অনেকে আবার দুর্ঘটনার ভয়ও পাচ্ছেন। সারাদিন অফিস করে দিন শেষে বাসায় ফিরে মিরপুরের লাবিবা হক জানান, চুলার চাবি ঘোরালেই পানি আসে। মিস্ত্রি এনে পানি বের করার আগে রান্না করা যায় না। আবার অনেক সময় চুলা ধপ করে জ্বলে উঠে বন্ধ হয়ে যায়। গত চার মাসে কয়েকবার মিস্ত্রি ডেকে গ্যাসের লাইন থেকে পানি বের করেছি। এই এলাকায় অনেক দিন ধরেই গ্যাসের সঙ্কট চলছে। গত আট মাসে তা প্রকট আকার ধারণ করেছে। আগে ভোরে চলে গিয়ে সন্ধ্যার দিকে গ্যাস চলে আসত। কিন্তু দিন দশেকের বেশি রাত ১২টার আগে গ্যাস আসে না। কিন্তু যখন গ্যাস আসে, তখন মাঝেমধ্যেই লাইনে পানি আসায় তারা চুলা জ্বালাতে পারেন না।
গতকাল সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতি বাড়িতেই বাড়তি চুলার ব্যবস্থা আছে। কেউ কেরোসিন চুলা, কেউ মাটির চুলা বানিয়ে রান্না করছেন। এতে রান্না নিয়ে ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা রূপা আক্তার বলেন, বাসায় গ্যাস আসে রাত ১২টায়। সকাল হওয়ার আগেই চলে যায়। চুলা ভরা পানি থাকায় রান্না করা সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এ ক্ষেত্রে ওয়াসার অবহেলাকে দায়ী করেন। কারণ গ্যাস লাইনগুলো মাটির নিচে থাকে। ওয়াসা যখন ঠিকাদার দিয়ে কাজ করায়, তখনি সমস্যাগুলো হয়। খোঁড়াখুঁড়ির সময় লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement