চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা
- ফয়েজ হিমেল
- ১৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়াই ওদের পেশা। বিভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তারা। একটি প্রতিষ্ঠান একস্থানে তিন-চার মাসের বেশি স্থায়ী করে না এ প্রতারকচক্র। পরে ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলে আবার নতুন করে প্রতারণা শুরু হয় তাদের। গত বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে এই চক্রের মূলহোতা আল আমিনসহ ১৩ সদস্য গ্রেফতার হয়েছে।
গ্রেফতার অন্যরা হলো- জহুরুল হক, আলমগীর হোসেন ওরফে মাসুম, খন্দকার মো: সৈয়দ শাহরিয়ার সোহাগ, খালেদ মাহমুদ, রহমত উল্লাহ, হাফিজুর রহমান, ইনছান আলী, সিরাজুল ইসলাম, নাদিম উদ্দিন, মেহেদি হাসান, হানিফ কাজী ও মামুনুর রশিদ। গত বৃহস্পতিবার সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারক চক্রটি বেশি বেতনে চাকরি দেয়ার নামে শত শত মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের টার্গেট অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী।
তিনি জানান, চক্রের সদস্যরা প্রথমে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে বিশ্বাস অর্জনের জন্য দেশী-বিদেশী বিভিন্ন নামীদামি প্রতিষ্ঠানের নামে ঢাকায় অফিস খোলে। আকর্ষণীয় ডেকোরেশন করা হয় ওই অফিসে। পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেয়। ভুয়া কোম্পানির নামে ওয়েবসাইটও চালু করে তারা। চাকরি প্রত্যাশীরা যোগাযোগ করলে মৌখিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। এরপরই চাকরি দেয়ার নামে নিরাপত্তা জামানত হিসেবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
মোল্যা নজরুল জাানান, এক অফিসে কিছু মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর অফিস বদলে ফেলে তারা। অন্যস্থানে গিয়ে আবার নতুন নামে অফিস খোলে-একইভাবে প্রতারণা করার জন্য। এ চক্রের বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে।