রাজধানীর ফুসফুস রমনা
- ২৬ জুন ২০১৮, ০০:০০
মেগাসিটি ঢাকার ‘ফুসফুস’ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে রমনা পার্ক। ঘন ঘাস, লতাগুল্ম, ছোট ও মাঝারি গাছ, মওসুমি ফুলে সমৃদ্ধ এটি ঐতিহ্যবাহী পার্ক। এখানে অতি দুর্লভ প্রজাতির বৃক্ষ যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে অচেনা পাখির কলকাকলিতে প্রশান্তি খুঁজে পাওয়ার সুযোগ। অট্টালিকাবদ্ধ এই রাজধানীতে প্রায় দেড় কোটি মানুষের বাস। যে হারে মানুষ রাজধানীমুখী হচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। অথচ জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যধিক হওয়া সত্ত্বেও রাজধানীর কোথাও দম ফেলার ফুরসত নেই। কোথাও এতটুকু ফাঁকা জায়গা নেই, একটু নির্মল বাতাস কিছুই নেই। তাই রাজধানী ঢাকার অন্যতম একটি বিনোদন কেন্দ্র ও মুক্ত জায়গা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে রমনা পার্ক।
রমনা পার্ক বর্তমানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন রয়েছে। পার্কের বর্তমান আয়তন ৬৮ দশমিক ৫ একর। এর লেকের আয়তন ৮ দশমিক ৭৬ একর। ঢাকা শহর দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে। তীব্র যানজট, কালো ধোঁয়া আর ময়লার দুর্গন্ধে আকাশ-বাতাস আচ্ছন্ন। এমন বাতাসে যেখানে নিঃশ্বাস নেয়ার অবস্থা নেই, সেখানে বিশুদ্ধ বাতাস আশা করা যেন বিলাসিতা। বর্ষার দিনে বৃষ্টির দেখা তো মেলেই না বরং উত্তপ্ত রোদে প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম।
অতিরিক্ত গরম আর রোদে উত্তপ্ত ঢাকার সড়ক লোকে লোকারণ্য। শান্তিতে হাঁটা তো দূরে থাক, এক জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়ানোরও উপায় নেই। দূষিত ঢাকার বুকের ঠিক মধ্যখানে বিশুদ্ধ বাতাস আর প্রশান্তির আয়োজন করে বসে আছে সবুজ-শ্যামল এই রমনা পার্ক। তাই তো শহুরে মানুষগুলো একটু সজীবতা পাওয়ার লোভে, বিশুদ্ধ বাতাস ফুসফুসকে উপহার দেবে বলে ছুটে আসেন রমনায়। সাতসকালে, অলস বিকেলে কখনো বা গোধূলিবেলাতেও।