৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মতপার্থক্য কমছে : তালেবান

- ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের সময়সীমার উপর ওয়াশিংটনের বিশেষ শান্তি দূতের সাথে আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মতপার্থক্য কমে আসছে তালেবানের। কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে উভয় পক্ষ।

দোহায় তালেবান মুখপাত্র সোহাইল শাহীন এপিকে দেয়া একটি ভয়েস মেসেজে বলেছেন, উভয় পক্ষই যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর সেনা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। ভিন দেশে আমেরিকার দীর্ঘকালীন সামরিক অবস্থান ও প্রায় ১৮ বছর যুদ্ধ শেষ করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি ইংরেজি ভাষায় দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘উভয় পক্ষের মধ্যকার দূরত্ব কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য এখনো আরো আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে’।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য তালেবান কর্মকর্তা আগে এপিকে বলেছিলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে আনুমানিক ১৪ হাজার সেনা প্রত্যাহারের জন্য দেড় বছর সময় চেয়েছিল। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার চেয়েছিল তালেবান। কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বক্তব্য রাখেন। কারণ, প্রচার মাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমতি তাদের ছিল না।

এটা এখনো অজানা যে উভয় পক্ষ আলোচনার টেবিলে নতুন কী প্রস্তাব এনেছে। গত বছর ওয়াশিংটনের শান্তি দূত জালমে খালিলজাদকে নিয়োগের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যকার আলোচনা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহারের আশ্বাস দেয় আর আফগানিস্তানকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলার ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করা হবে না বলে নিশ্চয়তা দেয় তালেবান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চয়তা চায় যে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেবে না তালেবান এবং তারা আইএসের সশস্ত্র যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে, যারা মূলত পূর্ব আফগানিস্তানে শিকড় গেড়েছে। খোরাসান প্রদেশে আইএস-এর শাখাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিল তালেবান। তীব্র যুদ্ধের সময়ও আইএস’র অনুসারীদের পাশে ছিল। প্রায়শই উত্তর আফগানিস্তান ও পূর্বের নঙ্গরহার প্রদেশের ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান আইএস-এর শাখা হিসাবে পরিচিত ছিল, তারা আইএস’র অনেক আফগান অনুসারীকে নিয়োগ করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement