তুরস্কে তুষার ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:১৩
তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে পরপর দু’টি তুষার ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো ৭৫ জন। গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) কর্মকর্তারা জানান, প্রথম দফা তুষার ধসের পর উদ্ধারতৎপরতা চলার মধ্যে দ্বিতীয় দফা ধসে বেশির ভাগ মানুষ হতাহত হয়েছে। আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এএফএডি কর্মকর্তারা জানান, গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভান প্রদেশের পার্বত্য শহর বাচেশারাইয়ের একটি মহাসড়কের কাছে তুষার ধসে পাঁচজন নিহত হন। সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে প্রায় ৩০০ জরুরি সেবা কর্মীকে পাঠানো হয়। উদ্ধারকাজ চলার মধ্যে গত বুধবার বিকেলে দ্বিতীয় দফায় তুষার ধসের কবলে পড়েন উদ্ধারকর্মীরা।
ভান প্রদেশের গভর্নর মুহাম্মদ আমিন বিলমেজ বলেন, ‘তুষারের নিচে চাপা পড়া সহকর্মীদের উদ্ধারে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জরুরি কর্মীরা’। তবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার অন্তত ৩০ জনকে হয় উদ্ধার করা হয়েছে নয়তো নিজেরাই তুষারের নিচ থেকে বের হতে সক্ষম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থার আর কোনো বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
ঘটনাস্থলের ভিডিওফুটেজে অন্তত তিনটি গাড়ি উল্টে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া কয়েকজন উদ্ধারকর্মীকে তুষার এড়াতে খাড়া পাহাড়ে উঠতে আর অন্যদের মরিয়াভাবে তুষার খুঁড়তে দেখা গেছে। কুয়াশা, তীব্র তুষারপাত ও জোরালো বাতাসের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতা।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭৫ জন বিশেষ কর্মকর্তা ও অন্য উদ্ধারকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেছে একটি বিশেষ সামরিক প্লেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে উদ্ধার তৎপরতা সম্পর্কিত তথ্য জানতে চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।
উল্লেখ্য, গত মাসে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় এলাজিগ প্রদেশে ৬.৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ৪১ জন নিহত ও আরো প্রায় এক হাজার ৬০০ জন আহত হন। এ ছাড়া ২০০৯ সালে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ গুমুসানের জিগানা পর্বতে এক তুষার ধসে ১১ পর্বতারোহী নিহত হন। সিএনএন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা