০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`

আইনজীবী আবিদা খুনের আসামী গ্রেফতার

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় নারী আইনজীবী খুনের আসামী তানভীরকে গ্রেফতার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। (ডানে) নিহত নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানা - নয়া দিগন্ত

মৌলভীবাজার জেলা বারের নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানা (৩৫) খুনের আসামী, বাড়ির ভাড়াটিয়া মাও. তানভীর আহমদ নামের এক মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের বরুণা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত তানভীর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার আমনদী গ্রামের মায়নুল ইসলামের ছেলে। তিনি বড়লেখা উপজেলার মাধবগুল জামে মসজিদের ইমাম।

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মোঃ আব্দুস ছালেক নয়া দিগন্ত অনলাইনকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৭মে (সোমবার) দুপুর পৌণে ১ টার দিকে ছদ্মবেশে পুলিশ সদস্যরা উপজেলার বরুণা মাদরাসার পাশের গ্রাম থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তানভীরকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, ২৬ মে (রোববার) রাত ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের পৈতৃক বাড়ি থেকে বড়লেখা থানা পুলিশ ওই নারী আইনজীবীর লাশ উদ্ধার করে। এদিকে ঘটনার পর থেকে আবিদার পৈতৃক বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া তানভীর আহমদ (৩৫) পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি'র নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা রোববার রাত সাড়ে ১২টা থেকে বরুণা মাদরাসার আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে সোমবার দুপুরের দিকে মাদরাসার পাশের একটি বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

জানা যায়, নিহত অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানা বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে। তিনি মৌলভীবাজার বারের একজন আইনজীবী। আবিদা সুলতানা স্বামীর সঙ্গে মৌলভীবাজার শহরে বসবাস করতেন। তার স্বামীর নাম শরীফুল ইসলাম, তিনি একটি ওষুধ কোম্পানীতে কাজ করেন।

আবিদার খালাতো বোন শিমুল চৌধুরী জানান, আবিদার মা তার মেজ মেয়ের বাড়ি বিয়ানীবাজারে থাকেন। তাদের পৈতৃক বাড়িতে তাদের পরিবারের কেউ না থাকায় তানভীর আহমদ (৩৫) ভাড়া থাকতেন। রোববার আবিদা বিয়ানীবাজারে বোনের বাড়ি থেকে মৌলভীবাজার যাওয়ার কথা বলে বের হন কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আবিদাকে খুঁজতে তাদের বাবার বাড়িতে যান স্বজনরা। সেখানে গিয়ে তারা ভাড়াটিয়া তানভীরকে বাড়িতে পাননি। বাড়ির একটি ঘর তালাবদ্ধ দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তালা ভেঙে ঘরের ভেতর মেঝেতে আবিদার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

বড়লেখা থানার ওসি ইয়াসিনুল হক হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই ভাড়া বাসার দুজন নারীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত নারীদের একজন ওই আটককৃত তানভীরের মা এবং আরেকজন তার স্ত্রী।

পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, নিহত নারীর মাথায়, গলার বাঁ পাশে এবং থুঁতনিতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তার গলায় ওড়না পেচিয়ে এবং মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যার কারণ উদ্ঘাটনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement