বিপন্ন প্রজাতির ‘লজ্জাবতী’ বানর ও ‘শঙ্খিনী’ সাপ উদ্ধার
- শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
- ২২ মে ২০১৯, ১৮:১৮
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পৃথক পৃথক স্থান থেকে দুটি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়ন থেকে একটি ‘লজ্জাবতী’ বানর ও শহরতলীর ভাড়াউড়া চা বাগানের বধ্যভূমি এলাকা থেকে বিশালাকৃতির একটি ‘শঙ্খিনী’ সাপ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২১মে) বিকেলে সিন্দুরখান ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেত থেকে গ্রামবাসী ‘লজ্জাবতী’ বানরটিকে আটক করে। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক সঞ্জিত দেব ঘটনাস্থলে পৌছে বানরটিকে উদ্ধার করেন।
অপরদিকে, সোমবার (২০ মে) ভাড়াউড়া চা বাগানের বধ্যভূমি এলাকার রঞ্জু কাহার নামে চা বাগানের এক বাসিন্দা সাপটিকে দেখে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে খরব দেন। পরে ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক সজল দেব সাপটিকে উদ্ধার করে সেবা ফাউন্ডেশনে নিয়ে যান।
এব্যাপারে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক সজল দেব বলেন, ‘লজ্জাবতী’ বানরটি কিছুটা আহত। আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে তাকে অবমুক্ত করা হবে। আবাসস্থল ধ্বংস এবং খাদ্য সংকটের কারণে তাদের অস্তিত্ব অনেকটাই বিপন্ন।
আর ‘শঙ্খিনী’ সম্পর্কে তিনি বলেন, সাপটি বর্তমানে শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল। সাপটি সুস্থ হলে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় জায়গায় অবমুক্ত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘লজ্জাবতী’ বানরের ইংরেজি নাম Bangal Slow Loris এবং বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis এরা নিশাচর এবং বৃক্ষবাসী প্রাণী। সচরাচর একাকী অথবা জোড়ায় থাকে। বিশ্রামের সময় এরা গোলাকার হয়ে অদ্ভুত আকৃতি ধারণ করে। লজ্জাবতী বানর খুব ধীরস্থির বা মন্থর গতিতে চলাফেরা করে থাকে।
আর শঙ্খিনী সম্পর্কে তিনি বলেন, শঙ্খিনীর আরেক বাংলা নাম ‘ডোরা শঙ্খিনী’ বা ‘ডোরা কাল-কেউটে’। সাপটির ইংরেজি নাম- Banded Krait আর বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus fasciatus এরা এক প্রকারের বিষধর সাপ। এদের প্রধান খাবার হচ্ছে ছোট প্রজাতির সাপ।