রাহুল গান্ধীর অনুবাদক হয়ে তাক লাগিয়ে দিলো ছোট্ট সাফা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৩৪
ভারতের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীর অনুবাদকের কাজ করল কেরলের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী । বৃহস্পতিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ওয়ানাদে এক স্কুলের বিজ্ঞান গবেষণাগার উদ্বোধন করতে যান কংগ্রেস নেতা। এদিন মঞ্চে উঠে রাহুল জানতে চান, কোনো ছাত্র তার ভাষণকে ইংরেজি থেকে মালয়ালমে অনুবাদ করতে চায় কিনা।
তিনি যখন একথা বলছেন, তখন হেসে ফেলেন তার অনুবাদক দলীয় নেতা কেসি বেণুগোপাল। শেষ পর্যন্ত দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সাফা সেবিন চলে আসে মঞ্চে। সে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের তর্জমা করতে থাকায় উৎসাহে হাততালি দিতে থাকে দর্শকরা। প্রথম মঞ্চে উঠে যখন রাহুলের মুখোমুখি হয় মেয়েটি, সে রাহুলকে হাতজোড় করে নমস্কার করে। কংগ্রেস নেতাও পাল্টা নমস্কার করেন। এরপর তিনি একটি মাইক ওই ছাত্রীর হাতে তুলে দিয়ে তার বক্তব্য রাখা শুরু করেন।
রাহুল গান্ধী ইংরেজিতে বলেন, ‘‘আমি তোমাদের বিজ্ঞানের সারমর্ম বলব। বিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খোলা মন। তোমাদের মনকে কখনো বন্ধ রাখলে চলবে না। তার মানে তোমাদের অন্যের কথা শুনতে হবে। তার মানে তোমাদের অন্যের আইডিয়াতেও প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।''
রাহুলের এই কথা ইংরেজি থেকে মালয়ালম থেকে অনুবাদ করে সকলকে শোনায় সাফা সেবিন।
আর কথা বলতে বলতে মাঝে মাঝেই সে হাত দিয়ে তার মুখের হাসি আড়াল করছিল। কারণ তার বন্ধুরা চেঁচিয়ে তাকে উৎসাহিত করছিল।
রাহুল আরো বলেন, ‘‘আমাদের দেশে এখন একটা ট্রেন্ড চলছে যেখানে বলা হচ্ছে তোমরা মানুষকে ঘৃণা করো আবার বিজ্ঞানে উন্নতিও করো।''
পরে রাহুল গান্ধী ধন্যবাদ দেন ছোট্ট সাফাকে। চমৎকার অনুবাদ করার জন্য তিনি প্রশংসা করেন দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর।
এনডিটিভিকে সাফা বলে, ‘‘এটা আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। আমি কেবল খেয়াল রাখছিলাম যেন আমি কিছু গুলিয়ে না ফেলি। মঞ্চে উঠে আমি কাঁপছিলাম। কিন্তু রাহুল গান্ধী আমাকে শান্ত করেন। উনি সত্যিই শান্ত।''
সূত্র : এনডিটিভি