২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বেঙ্গালুরুতে আটক ৫৯ জনকে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা

বেঙ্গালুরুতে আটক ৫৯ জনকে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা - ছবি : সংগ্রহ

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে আটক ৫৯ বাংলা ভাষাভাষীকে বাংলাদেশী হিসেবে অভিহিত করে কর্ণাটক সরকার পুশ ব্যাকের চেষ্টা করায় সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত সুর ক্ষোভ প্রকাশ করে একে ‘ভয়াবহ ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন। আটক ওই লোকদের মধ্যে ১৮ পুরুষ, ২৩ মহিলা এবং ১৮ শিশু রয়েছে।

মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত সুর বলেন, ‘কর্নাটক সরকার দেশের আইন-সংবিধান সব লঙ্ঘন করেছে। কাউকে এভাবে ‘পুশ ব্যাক’ করা যায় নাকি! কোনো মামলা নেই ওদের বিরুদ্ধে। পুলিশ কী করে নিশ্চিন্ত হল ওরা বাংলাদেশী? ওরা পশ্চিমবাংলার বাঙালিও হতে পারে। পুলিশকে বাংলাদেশি নির্ধারণের ক্ষমতা কে দিল? কোন আইনে? পুশব্যাকের অর্ডার কে দিল?’

তিনি বলেন, ‘কোর্টের আদেশ ছাড়া কখনোই ‘পুশব্যাক’ করা যায় না। আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে দাবি করছি, এই পুশব্যাক বন্ধ করুক। পশ্চিমবঙ্গের সবাইকে আবেদন করছি, এর প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য।’

কর্নাটক সরকার ধৃতদেরকে ২৬ দিন বেঙ্গালুরুর একটি হোমে আটকে রাখার পরে তাদেরকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এদেরকে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ট্রেনে তোলা হয়েছে। ট্রেনের একটি আলাদা কামরায় তাদের রাখা হয়েছে। পথে যাতে কেউ পালাতে না পারেন, তার জন্য কর্ণাটক পুলিশের ২৯ জনের একটি দল সবাইকে পাহারা দিচ্ছে। তারা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও বিএসএফের কাছে ধৃতদের হস্তান্তর করবে।

কর্ণাটক পুলিশ জানিয়েছে, আটক লোকদের কাজের টোপ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আনা হয়েছিল। তাই তারা ‘পাচার হয়ে এসেছে’ গণ্য করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রুজু করা হয়নি।

ধৃত লোকদের বড় অংশই বেঙ্গালুরু শহরে কাগজ কুড়ানি হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এবং এদের অনেকেই কয়েক বছর ধরে ওই শহরে রয়েছেন। এদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং কোনো রকম নথিপত্র ছাড়াই সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকেছিলেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।
সূত্র : পূবের কলম


আরো সংবাদ



premium cement