পাকিস্তানকে ৩০০ অত্যাধুনিক ট্যাংক দিচ্ছে চীন
- ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:০৫
পুলওয়ামা হামলার ঘটনা থেকে কাশ্মির সঙ্কট, সব ইস্যুতের পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছে বেইজিং। এতে ভারতের সাথে চীনের সম্পর্কের বেশ অবনতি ঘটে।
তবে চীনের প্রেসিডেন্টের হঠাৎ ভারত সফরে দুই দেশের সম্পর্ক সঠিক জায়গার আসবে এমনটিই ভাবা হচ্ছিল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় পাকিস্তানকে চীনের ৩০০ ট্যাংক উপহারের ঘটনা।
চীন ও ভারতের মধ্যকার চলমান শীতল সম্পর্কের জট খুলতে দু’দিনের সফরে ভারত গিয়েছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ সফরে প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার সুযোগ হিসেবে দেখছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চীনের প্রেসিডেন্টের জন্য শুক্রবার বিশেষ এক নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। সেখানে জিনপিংয়ের রসনা তৃপ্তিতে কার্যত কোনো ধরনের কমতি ছিল না। দক্ষিণী কুইজিনের সাথে জিনপিংয়ের পরিচয় করিয়ে দিতে নৈশভোজে ছিল বিভিন্ন ধররের দক্ষিণী খাবারও। তবে ভারতের এত আপ্যায়ন সত্ত্বেও পাকিস্তানকে ৩০০ অত্যাধুনিক ট্যাংক দিতে চলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
জানা গেছে, ইসলামাবাদের চাওয়া মতো পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে ৩০০টি ‘ভিটি-৪’ ট্যাংক তুলে দেবে বেইজিং। শুধু তাই নয়, প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়েও রাজি হয়েছে চীন। ফলে এবার পাকিস্তানেই তৈরি হবে ওই ট্যাংকগুলো।
উল্লেখ্য, তুরস্কের আলতে, দক্ষিণ কোরিয়ার কে-২, রাশিয়ার টি-৯০ ও চীনা ভিটি-৪ ট্যাংকে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে ভারতের হাতে টি-৯০ রয়েছে এবং বাকীগুলোর তুলনায় চীনা ট্যাংক অনেকটাই সস্তা। ফলে শেষমেশ ভিটি-৪ কেনার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, কয়েকদিন আগেই চীনের গানসু প্রদেশে সামরিক মহড়া করে পাকিস্তান সেনা ও লালফৌজ।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতকে চাপে রাখতে পাকিস্তানকে সামরিক সহযোগিতা দেবে চীন। ফলে কূটনৈতিক স্তরে দিল্লি-বেইজিং আলোচনা হলেও ভারতকে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। চলতি বছরের আগস্টে জম্মু-কাশ্মির নিয়ে ভারতের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ চীন। ওই পদক্ষেপে উপত্যকাকে দুই ভাগ করে কেন্দ্রীয় শাসনের অধীন করেছে নয়াদিল্লি। দু’টি অঞ্চলের একটি লাদাখ যাকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে বেইজিং।
কাশ্মির ইস্যুতে প্রথম থেকেই পাকিস্তানের পক্ষে নেয়ায় চীনের ওপর অসন্তুষ্ট ভারতও। ভারত সফরের দু’দিন আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন জিনপিং। বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে চীন জানায়, জিনপিং ‘জম্মু ও কাশ্মিরের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে লক্ষ রাখছেন। শুধু তাই নয়, এ পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে পারে এমন যেকোনো একতরফা পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে।’ এ বিবৃতির পরেই পাল্টা উত্তর দিয়ে নয়াদিল্লি বলেছে, অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়।উল্লেখ্য, দেড় বছর আগে চীনের ইউহান শহরে এক রিসোর্টে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। ভারত-চীন সম্পর্ক মজবুত করার উদ্যোগ নিয়েই ইউহানে বৈঠক করেছিলেন মোদি ও শি।
সংবাদ প্রতিদিন