২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হলে দিলিপ ঘোষকে যশোহর পাঠিয়ে দেবো

মমতা ও দিলিপ
মমতা ও দিলিপ - ছবি : সংগৃহীত

এনআরসি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইতোমধ্যে এনআরসি নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলিপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘আসামের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গে (এনআরসি) নাগরিক পঞ্জিকরণ হবে। তাতে প্রায় দুই কোটি মানুষ বাদ যাবে।’ এবার দিলিপ ঘোষকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তিনি হুঙ্কারের সুরে বলেছেন, ‘এনআরসি নিয়ে দিলিপ ঘোষ পাগলামি করছে, বাংলায় এনআরসি হলে দিলিপ ঘোষকে বাংলাদেশের যশোহর পাঠিয়ে দেবো।’

এনআরসি তথা জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের আতঙ্কে ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম বাংলার মানুষ ভোটার কার্ড, রেশনকার্ড থেকে আধার কার্ড সংশোধন করার জন্য পঞ্চায়েত অফিস থেকে বিডিও অফিস এমনকি তথ্যমিত্র কেন্দ্রে ছোটাছুটি শুরু করছে। এদিন ভাঙড়ের ২ নং ব্লক অফিসে গিয়ে দেখা যায় ডিজিটাল রেশনকার্ড সংশোধনসহ নতুন করে করার জন্য কয়েক হাজার মানুষের দীর্ঘ লাইন। কাটফাটা রৌদ্রে কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছেন আবার কেউ সাত সকালে এসে লাইন দিয়েছেন। একই চিত্র ধরা পড়েছে ভাঙড়ের ১ নং ব্লকেও। এর পাশাপাশি ভোটার কার্ড ভ্যারিফিকেশন সহ সংশোধন করার জন্য তথ্যমিত্র কেন্দ্রসহ সাইবার ক্যাফেতে দীর্ঘ লাইন। ভাঙড়ের ব্লক অফিস চত্বরে এক বৃদ্ধা রেশনকার্ড সংশোধন করতে এসে বলেন, ‘বিজেপি নেতারা বলছে বাংলায় এনআরসি হবে আর মুসলিমদের বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেবে তাই আমি সব কাগজপত্র ঠিকঠাক করছি। দেখা যাক কি হয়।’

এ বিষয়ে আরাবুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এনআরসি নিয়ে দিলিপ ঘোষ পাগলামি করছে, তাই মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ব্লক অফিসে ছুটে আসছে কাগজপত্র নিয়ে।’ এরপরই তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘আমাদের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজপথে নেমে প্রতিবাদ মিছিল করে জানিয়ে দিয়েছে বাংলায় দুই কোটি কেন দুইজন মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখাক। সুতরাং দিলিপ ঘোষের এই পাগলামি চলবে না। বাংলায় এনআরসি হলে দিলিপ ঘোষকে যশোহরে পাঠিয়ে দেবো।’

এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, এনআরসি নিয়ে শাসক বিরোধী বিতর্কের মধ্যে গরিব নিরক্ষর মানুষের কাগজপত্র ঠিক করে দেয়ার নাম করে টাকা নিয়ে চলছে কিছু অসাধু চক্র।


আরো সংবাদ



premium cement