গরু আটকে বিপাকে বিএসএফ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ আগস্ট ২০১৯, ০৯:২০
পাচার আটকাতে গরু ধরে বিপাকে ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী তথা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। রাখার জায়গা নেই। শিবিরের পাশেই সাময়িক খোঁয়াড় তৈরি করে রাখা হয়েছে এদের। গরু, মহিষের সঙ্গে পাশাপাশি থাকতে হচ্ছে বিএসএফ জওয়ানদের। বাড়ছে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা। সমাধানের জন্য বেশ কিছু গরু, মহিষ ইতিমধ্যেই তুলে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে। কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয় বলেই জানাচ্ছেন বিএসএফ কর্মকর্তারা।
স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তারা। একইসঙ্গে সুন্দরবন এলাকায় নৌপথে নজরদারি বাড়াতে ৬টি নতুন ভাসমান শিবির বা ফ্লোটিং বর্ডার আউটপোস্ট (এফবিওপি) চালু করা ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের অন্য সীমান্ত এলাকায় বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা।
এই মুহূর্তে সুন্দরবনে এফবিওপি–র সংখ্যা ৩টি।বুধবার বিএসএফের আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) ওয়াই বি খুরানিয়া জানিয়েছেন, ‘আগে গরু বা মহিষ বাজেয়াপ্ত করার পর তা শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেয়া হতো। যেগুলো পরে নিলামে বিক্রি করে দেয়া হতো। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ২০১৮–তে নভেম্বর মাস থেকে এখন আর শুল্ক দপ্তরের হাতে সেগুলি তুলে দেয়া হয় না। এখন সেগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। আপাতত বিএসএফের বিভিন্ন শিবিরে বাজেয়াপ্ত ২৫০০ গরু এবং মহিষ আছে। এগুলি এখনো কারোর হাতে তুলে দেওয়া যায়নি। ফলে এদের রক্ষণাবেক্ষণ আমাদেরই করতে হচ্ছে।’ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁদেরকে কিছুই জানানো হয়নি। তিনি এ ব্যাপারে খোঁজ নেবেন।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত তারা ১৯ হাজার গরু এবং মোষ বাজেয়াপ্ত করেছে। যার মধ্যে একটি বিরাট সংখ্যা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে দেখাশোনার জন্য তুলে দেয়া হয়েছে। এক বিএসএফ কর্মকর্তা জানিয়েছেন মাঝে মাঝে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে পাচারের জন্য গরু বা মহিষ নিয়ে আসছে দেখা গেলে দূর থেকে হাঁকডাক করা হয়। যাতে সীমান্তের কাছে না আসে। পাচার আটকাতে রাজ্য পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন আইজি। তিনি বলেন, স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় বহু ক্ষেত্রে পাচার আটকানো হচ্ছে। একইসঙ্গে যে এলাকায় সীমান্তে এখনো বেড়া দেয়া যায়নি সেই সীমান্তগুলোতে বেড়ার জন্য জমির প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : আজকাল