০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

কাশ্মিরীদের আশঙ্কাই সত্যি হলো

কাশ্মিরের সড়কে ভারতীয় বাহিনীর কড়া পাহাড়া - ছবি : এএফপি

অধিকৃত কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ভারত সরকার। ভারতীয় সংবিধানের যে অনুচ্ছেদের ফলে জম্মু ও কাশ্মির বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা পেয়ে আসছিল, তা বাতিল করে কেন্দ্রের শাসনের আওতায় আনতে পার্লামেন্টে বিল তুলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

পাশাপাশি ‘জম্মু ও কাশ্মির সংরক্ষণ বিল’ নামে আরও একটি প্রস্তাব ভারতের পার্লামেন্টে তোলা হয়, যা পাস হলে জম্মু ও কাশ্মির ভেঙে লাদাখ হবে আলাদা অঞ্চল। জম্মু ও কাশ্মিরে আইনসভা থাকবে, তবে লাদাখে তা থাকবে না।

কাশ্মিরে যে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল গত কয়েকদিন ধরেই। গত শনিবার হিন্দু তীর্থযাত্রীদের অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে দিয়ে তীর্থযাত্রীদের এবং সেই সাথে কাশ্মির ভ্রমণরত পর্যটকদের দ্রুত এলাকাটি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। শুরু হয় ঘরে ঘরে তল্লাশি। মানুষ আতঙ্কিত হলে গোটা উপত্যকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়।

কয়েক দিন আগে কাশ্মিরে ১০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে ভারত। আরো ২৮ হাজার পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তাই কাশ্মিরে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে তা সবাই ধরেই নিয়েছিল।

যদিও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা গোয়েন্দা সূত্রে সম্ভাব্য হামলার কথা জানতে পেরেছে। তাই এত নিরাপত্তা। কিন্তু অনেকেই বলছেন সংবিধানে কাশ্মিরে বিশেষ অধিকার সম্বলিত ৩৫-ক এবং ৩৭০ ধারা বাতিলের চেষ্টা করছে সরকার। কাশ্মিরের গভর্নর এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও কেন্দ্রীয় সরকার এ নিয়ে চুপ ছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলছিলেন, সেনা মোতায়েনের পেছনে সরকারের অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। সোমবার সেইসব শঙ্কাই সত্য বলে প্রমাণিত হলো। রোববার সন্ধ্যায় একটি সূত্রে শোনা যায়, জম্মু-কাশ্মির পুলিশকে অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অবশ্য সে কথা স্বীকার করেনি ভারত সরকার।

তবে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বিতর্কিত এই উপত্যকাটির বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকায় থানা পাহারা দিচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এছাড়া বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। ফিরিয়ে আনা হয়েছে যুব ক্রিকেটারদেরও। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ রয়েছে। পুরো উপত্যকা জুড়েই বিরাজ করছে এক ভীতিকর পরিবেশ।

শনিবার এই বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠলে রোববার কাশ্মিরের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির বাড়িতে এক সর্বদলীয় বৈঠকে মিলিত হন। কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা খর্ব করার চেষ্টা হলে একযোগে প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেন তারা। তাই তাদেরকে ওইদিন রাতেই গৃহবন্দী কিংবা আটক করা হয়।

এরপর সোমবার ভারতের পার্লামেন্টে গৃহীত হয় কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার বিল।


আরো সংবাদ



premium cement
এ সরকার জনপ্রত্যাশার কী করবে? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন : তাজুল ইসলাম চিফ প্রসিকিউটর আবুধাবির কারাগার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪ বীর কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা : কনস্টেবল গ্রেফতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তগুলো যৌক্তিক : ফখরুল ‘একটি চক্র জামায়াত আমিরের বক্তব্য নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে’ অস্ত্র জমা দেয়নি শামীম ওসমান ও গাজী পরিবার এবি পার্টির উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া নিয়ে বিতর্কে মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ আশুলিয়ায় শ্রমিক দলের সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫ রূপগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা

সকল