২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভোট দিবেন যে হারে, পানি পাবেন সে হারে : ভাইরাল বিজেপি নেতার ভিডিও

গুজরাটে পানির জন্য নারীদের বিক্ষোভ, ইনসেটে বিজেপি নেতা কুনভারজি ভবলিয়া - ছবি : সংগৃহীত

ভারতের এক বিজেপি নেতা ভোটারদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যে হারে আপনারা ভোট দেবেন, পানিও পাবেন সে হারে। আপনারা যদি দলবেধে আমাদের ভোট দিতে আসেন, তাহলে পানিও সে হারে পেতে পারেন। তার এ বক্তব্যের ভিডিও পরে ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, গুজরাটের পানিমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা কুনভারজি ভবলিয়া একদল নারীকে প্রশ্ন করছেন, তারা কি গতবার তাকে ভোট দিয়েছিলেন? ওই নারীরা পানি সঙ্কটের কারণে বিক্ষোভ করছিলেন। তাদেরকে এ ধরনের প্রশ্ন করে বসেন ওই বিজেপি নেতা।

গত বছর কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়া এই নেতা পরে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। এবার লোকসভা নির্বাচনে কানেসারা গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় বিক্ষুব্ধ নারীদের সামনে পড়েন তিনি। ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী ওই মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করছেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে যে পানি দেয়ার কথা ছিল, তা পাচ্ছি না কেন?

এর তাৎক্ষণিক জবাবে কুনভারজি বলেন, আমার অনুরোধ সত্ত্বেও গত নির্বাচনে আপনারা আমাকে মাত্র ৫৫ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন। কেন তখন সবাই মিলে আমাকে ভোট দেননি?

এ সময় তার পাশ থেকে বিজেপির আরেক নেতা ভরত বোগারা বলেন, সুতরাং আপনারা সে হিসেবেই পানি পাবেন।

গুজরাটের ২৬টি লোকসভা আসনে ভোট নেয়া হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। আর ফল ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে মে মাসের ২৩ তারিখে।

 

আরো পড়ুন : ‘মুসলমানদের কাপড় খোলার জন্য এত উদগ্রীব কেন বিজেপি?’
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১১:১৯

ভারতের কেরালা রাজ্যের বিজেপি সভাপতি নেতা শ্রীধরন পিল্লাই মুসলমানদের চিহ্নিত করতে যে ন্যাক্কারজনক বক্তব্য রেখেছেন তার দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের (এআইএমআইএম) সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়েইসি।

এক টুইটে ওয়েইসি বলেন, মানুষের লাশের ওপর পরীক্ষা চালাতে তারা খুবই অভিজ্ঞ। তাদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার পূর্ণ হয়েছে ২০০২ সালে গুজরাটে। এছাড়া বিলকিস বানু, এহসান জাফরি, আখলাক, পেহলি খান, জুনায়েদ, শওকত আলীসহ বিজেপি সমালোচক আরো অসংখ্য মানুষের লাশের ওপর দিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হয়েছে।

তিনি আরো লিখেন, আপনি যদি কোনো মুসলমানের পরিচয় জানতে চান, তাহলে তাদের জিজ্ঞাসা করুন। কাপড় খোলার তো কোনো প্রয়োজন নেই। মুসলমানদের কাপড় খোলার জন্য তারা এত উদগ্রীব কেন?

এর আগে ভারতের কেরালা রাজ্যের বিজেপি সভাপতি পি এস শ্রীধরন পিল্লাই বলেছেন, কাপড় খুলে পরীক্ষা করে কেবল মুসলমান চিহ্নিত করা যেতে পারে। তার এই বিতর্কিত মন্তব্যে সেখানে সমালোচনার ঝড় বইছে।

ভারতের গণমাধ্যম দ্য নিউজ মিনিট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কেরালার আট্টিনগালে বিজেপির স্থানীয় প্রার্থী শোভা সুরেন্দ্রের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় শ্রীধরন এ কথা বলেন। সরকার বিরোধীরা বালাকোট হামলায় নিহতদের ব্যাপারে বিজেপির দেয়া তথ্যের যে সমালোচনা করেছে, তার জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বালাকোটে বিমান হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের রাহুল গান্ধি, ইয়েচুরি এবং পিনারাইরা আমাদের সেনাদের অপমান করতে চায়। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ঘায়েল করে তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, যদি এটা ইসলাম হয়, তাহলে তাদের আর কোনো চিহ্ন রয়েছে? যদি তাদের কাপড় খুলে ফেলা হয়, তাহলেই কেবল তাদের চেনা যেতে পারে।

তার এ বক্তব্য ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন বিজেপির এই নেতা। কিন্তু তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দেন।

তার এ বক্তব্যে সেখানে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এলডিএফ ও কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ পক্ষ থেকে তার এ বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এদিকে সিপিআই নেতা ভি এস সিভাঙ্কুট্টি নির্বাচন কমিশনে এক অভিযোগ দায়ের করে বলেছেন, শ্রীধরন পিল্লাইয়ের এ বক্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement