শ্রীলঙ্কায় গণকবরে ২৭৮টি কঙ্কালের সন্ধান
- এপি
- ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০, আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৩২
শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় গণকবর খনন করে ২৭৮টি কঙ্কালের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসবের মধ্যে নারী-পুরুষ ছাড়াও রয়েছে নারী ও শিশুদের দেহাবশেষ। স্থানটি তামিল টাইগার ও শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল।
গত মার্চ মাসে গণকবরটির সন্ধান পেয়েছিলেন নির্মাণ শ্রমিকেরা। ভুক্তভোগীরা কবে নাগাদ মারা গিয়েছিল, তা জানার জন্য তাদের কঙ্কালের নমুনা কার্বন ডেটিং পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। চার দশক ধরে চলা শ্রীলঙ্কান গৃহযুদ্ধের সময় মানার নামক স্থানটিতে তামিল টাইগার ও সেনাবাহিনী প্রচণ্ড লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিল। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে অনেক বড় অভিযানের মধ্য দিয়ে দেশটির গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। ২০১৩ সালে একটি সরকারি কমিটি জানিয়েছিল, গৃহযুদ্ধে নিখোঁজ হয়েছে ১৯ হাজার মানুষ। এর মধ্যে পাঁচ হাজার হচ্ছে শ্রীলঙ্কার সেনাসদস্য।
শ্রীলঙ্কার নর্দান সিটির ‘সিনিয়ার জুডিশিয়াল মেডিক্যাল অফিসার’ রাজাপাকসে জানিয়েছেন, গণকবরটির সন্ধান পাওয়ার পর তাদের ১১৮ দিন খনন কাজ করতে হয়েছে। এতে খুঁজে পাওয়া গেছে ২৭৮টি কঙ্কাল। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নিহতদের কবর দেয়া হয়েছিল সেখানে। যে কঙ্কালগুলো পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে ২০টি শিশুর।
রাজাপাকসে জানিয়েছেন, তারা কিভাবে মৃত্যুবরণ করেছিল তা জানতে বিস্তারিত পরীক্ষা চালাতে হবে। তার ভাষ্য, ‘আমাদের এখন কাজ হচ্ছে তাদের মৃত্যুর কারণ ও সময়কাল খুঁজে বের করা, ঘটনার সময়ের পারিপার্শ্বিকতা বোঝা এবং কঙ্কালগুলো যাদের, তাদের পরিচয় খুঁজে বের করা।’
এ বছর থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে গঠিত সংস্থা ‘অফিস অব দ্য মিসিং পার্সন্স’ কাজ শুরু করেছে। এর চেয়ারম্যান সালিয়া পেইরিস বলেছেন, কঙ্কালের নমুনার কার্বন ডেটিং পরীক্ষা করে মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিতের জন্য যে খরচ লাগে তার জোগান তারা দেবেন। ছয়টি কঙ্কালের নমুনা কার্বন ডেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। এসবের ফলাফল এলে জানা যাবে, ভুক্তভোগীরা কবে নাগাদ মৃত্যুবরণ করেছিল।