মানবের সূচনা ও পরিণতি
- জসিম উদ্দিন
- ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৩১
মানুষের উৎপত্তি নিয়ে অনেক ভাবনা-চিন্তা হয়েছে। এখনো তা অব্যাহত আছে। অনেকে আলোড়ন সৃষ্টিকারী গবেষণা করেছেন। সৃষ্টজীব তার নিজের উৎপত্তি, বিকাশ ও বিলুপ্তি নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারে না। আদৌ কি বলা সম্ভব? তত্ত্ব উদ্ভাবক ও প্রবর্তকদের কাছে এমন প্রশ্ন খুব একটা করা হয় না। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট কম্পিউটার মানুষের অনেক কাজ করতে সক্ষম। কিন্তু রোবটটি কি নিজে থেকে তার উৎপত্তির ইতিহাস বলতে পারবে? কিংবা বলতে পারবে কি তার স্রষ্টা মানুষের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু? এমন চিন্তার সূচনা করা রোবটের পক্ষে আদৌ সম্ভব কি? এসব প্রশ্নের উত্তর যদি, ‘না’ হয়, তাহলে সৃষ্টজীব মানুষ নিজের স্রষ্টা নিয়ে কতটুকু ভাবতে সক্ষম? নিজের উৎপত্তি, বিকাশ ও পরিণতি নিয়ে গবেষণা করে কতটুকু অগ্রসর হতে পারবে? জেরুসালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইউভাল নোয়া হারিরি মানব সূচনা ও ভবিষ্যৎ বিলুপ্তি নিয়ে দু’টি বই লিখেছেন। ওই দু’টি বই পড়ে বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা কলাম লেখক পত্রিকায় একটি কলাম লিখেছেন।
‘হোমো ডিউস : অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টুমরো’ শিরোনামের বইটিতে সুপার হিউম্যানদের উদ্ভবের সম্ভাবনার কথা বলেছেন হারিরি। এ সুপার হিউম্যানের হাতে সাধারণ মানুষের (হোমো সেপিয়ান্সের) বিলুপ্তির আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তিনি। জিন কোড বদলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে এমন অতি উন্নত মানবজাতির উদ্ভব হবে বলে তার ধারণা। অন্য একটি বই ‘সেপিয়েন্স : অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড’-এ লিখেছেন, কিভাবে বর্তমান মানবজাতি পৃথিবীর কর্তৃত্ব নিয়েছে। তাদের বুদ্ধিমত্তা ও শক্তির কাছে কিভাবে অন্যান্য প্রধান প্রাণিপ্রজাতির বিলুপ্তি হয়েছে; সে কথা লিখেছেন তিনি।
মানুষের উৎপত্তি ও বিকাশ নিয়ে ডারউইনের বিবর্তনবাদ বহুল আলোচিত একটি তত্ত্ব। তার মতে, টিকে থাকতে পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে অভিযোজন ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতে বিচিত্র সব বিকাশ ও পরিবর্তনও হয়ে থাকে। মানুষকে বিবর্তনের মাধ্যমে হয়ে আসা একটি প্রাণী হিসেবে প্রমাণ করতে চেয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, এর শুরু পানি থেকে। প্রথমে এক কোষী প্রাণ। তারপর তা বিবর্তনের মাধ্যমে ক্রমে বিকশিত ও উন্নত দেহাবয়ব পেয়েছে। ইউভাল নোয়ার মানবজাতি নিয়ে অতীতের বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা-শঙ্কার বাণী ডারউইনের বিবর্তনবাদের সাথে মিল আছে। ইউভালের সুবিধা হলো- ডারউইনের সামনে বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের চিত্র ছিল না, কিন্তু ইউভাল তা পেয়েছেন। অতি মানব সৃষ্টির যে সম্ভাবনার কথা নোয়া হারিরি বলেছেন, সেটি মূলত জেনিটিক সায়েন্স ও তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান বিকাশ সামনে রেখে। যে ঐতিহাসিক বিবর্তনের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, তা বিশ্বাসযোগ্য করতে পারেননি। তার কথাগুলো অনুমাননির্ভর। যদিও তিনি অনেক তথ্য-উপাত্ত জোগাড় করেছেন।
বিবর্তনবাদ এক সময় অনেকের স্বীকৃতি পেলেও পরবর্তীকালে গুরুত্ব হারায়। কারণ, ডারউইন যে বিবর্তনের কথা বলেছেন, প্রকৃতিতে এমনটি কখনো বাস্তবে দেখা যায়নি। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন প্রজাতির পর্ব পার হয়ে মানুষ অতি উন্নত প্রজাতির একটি প্রাণী হয়ে উঠেছে, তার এমন বক্তব্যের সমর্থনে বিগত দুই শ’ বছরে কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন একটি বিকল্পও খুঁজে পাওয়া যায়নি; একটি নি¤œ প্রজাতির প্রাণী কয়েক শ’ বছরে বিবর্তিত হয়ে উন্নত প্রজাতির প্রাণীতে রূপান্তরিত হয়েছে কিংবা পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে কোনো একটি প্রাণী অতিরিক্ত অঙ্গ সংযোজন করেছে। এমন অঙ্গসৌষ্ঠব বেড়ে কিছু প্রাণী আগের চেয়ে অধিকতর টেকসইভাবে পৃথিবীতে বসবাস করছে, তাও দেখা যাচ্ছে না। বরং বর্তমান সময়ের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি প্রাণীর রয়েছে আলাদা আলাদা নকশা। সেই নকশায় পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়, এটি প্রমাণিত সত্য। কোনো হাইপোথিসিস নয়, কেবল উদ্ভিদ এবং প্রাণীর শারীরিক আকার-অবয়বে কিছুটা পরিবর্তন আনা সম্ভব। যেমন গাধা ও ঘোড়ার ক্রস ব্রিডিংয়ে খচ্চরের উদ্ভব সম্ভব। আবার কুমড়ো ও লাউয়ের ক্রস করে এ দুইয়ের কাছাকাছি অন্য একটি ফল সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটি জেনেটিক সায়েন্স। এর মাধ্যমে পরিবর্তনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা ও সীমা রয়েছে। মূলগত কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।
মানব সৃষ্টি নিয়ে বিভিন্ন সময় যেসব গবেষণা হয়েছে; তা সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য দাঁড় করাতে পারেনি। প্রতিটি চিন্তাই মানুষের নির্ধারিত সময়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ ছিল। কোনোকালেই নির্ভুল ভাবনা করতে পারেনি মানুষ। তবে স্রষ্টা যেসব কথা বলেছেন, তা নিশ্চিত করে বলেছেন। সেসব কথায় কোনো বিচ্যুতি দেখা যাচ্ছে না। সাড়ে চৌদ্দ শ’ বছর আগে মানুষকে লক্ষ্য করে স্রষ্টা যা যা বলেছেন, প্রকৃতিতে ঠিক তেমনভাবেই তা বিরাজমান। এর কোনো ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেছেন, তোমাদের একজন মাত্র ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তার থেকে তৈরি হয়েছে তার জোড়া। তাদের দুইজন থেকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে অসংখ্য নর-নারী: সূরা নিসা, আয়াত ১। অন্য জায়গায় প্রথম মানবের নাম বলেছেন আদম। কিভাবে আদম আ:কে বানানো হয়েছে, তারও বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে ঐশী গ্রন্থ আল কুরআনে। কাদামাটির গাড়া থেকে বানানো হয়েছে আদমকে। তারপর আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে তার মধ্যে রূহ ফুঁকে দিয়েছেন। এরও আগে তিনি সৃষ্টি করেছেন আরো দু’টি সত্তা ফেরেশতা আর জিন। পৃথিবী ও আকাশের বিষয়ে নিশ্চিত করে তিনি বলেছেন, আসমান ও জমিনের উদ্ভাবক আল্লাহ : সূরা বাকারা, আয়াত ১১৭। আকাশ ও পৃথিবীকে তিনি যেমন অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে এনেছেন, ঠিক একইভাবে জীবন ও মৃত্যু নামেও কিছু ছিল না। এ দু’টি বিষয় তিনি অস্তিত্বশীল করেছেন। প্রাণিকুলের জীবনচক্রে সবচেয়ে বড় দু’টি বিষয় হলো, জন্ম আর মৃত্যু। এর মাধ্যমে আমরা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হই। তিনি বলেছেন, জীবন ও মৃত্যুর স্রষ্টা আল্লাহ : সূরা আল মূলক, আয়াত ২।
আমরা নিজেদের যাপিত জীবন থেকে সব কিছুর চূড়ান্ত ভাবনা ভাবতেই পছন্দ করি। এ ভাবনাগুলোর অন্যতম প্রধান একটি ভাবনা হচ্ছে মানুষের উৎপত্তি। লক্ষ করলে দেখা যাবে, কেউ নিজেকে তার স্রষ্টা হিসেবে দাবি করেনি। একই ভাবে জন্মদাতা বাবা-মাও সন্তানের স্রষ্টা হিসেবে নিজেদের কর্তা দাবি করতে কখনো পারেনি। এভাবে কেউ নিজেকে প্রথম মানবের স্রষ্টা হিসেবেও দাবি করা অসম্ভব। একইভাবে আসমান ও জমিনের স্রষ্টা হওয়ার কথাও কেউ কোনো দিন দাবি করেনি। সবচেয়ে বড় বড় অস্তিত্ব যেমন- সূর্য, চাঁদ, পর্বতমালা, সাগর-মহাসাগর এগুলোর উদ্ভাবক স্রষ্টা হিসেবে কোনো মানুষ নিজেকে দাবি করে না।
পৃথিবীতে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী মানুষ। দুনিয়ায় দৃশ্যত সবচেয়ে কর্তৃত্ববানও মানুষ। মানুষের ওপর কার্যত কারো নিয়ন্ত্রণ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু এই মানুষ এসবের উৎপত্তি নিয়ে নিশ্চিত করে কোনো কথা বলতে পারে না। অন্য দিকে আল্লাহ এসব কিছুর একক স্রষ্টা বলে নিশ্চিত করে তা মানুষকে জানিয়েছেন।
সূরা ছোয়াদে ৬৭-৭৪ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘তুমি বলো- এ হচ্ছে এক বড় সংবাদ। যা থেকে তোমরা মুখ ফিরিয়ে রেখেছ। এ ব্যাপারে আমার কোনো অবগতি ছিল না, ঊর্ধ্বজগতে বিতর্ক হচ্ছিল। আমার কাছে ওহি করা হয়েছে, আমি একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী ছাড়া আর কিছুই নই। যখন তোমার স্রষ্টা ফেরেশতাদের বলছিলেন, আমি মানুষ বানাতে যাচ্ছি মাটি থেকে। আমি তাকে বানিয়ে যখন স¤পূর্ণ সুঠাম করে নেব, তখন আমার রূহ থেকে তার মধ্যে ফুঁকে দেবো; এরপর তোমরা তার প্রতি সিজদাবনত হবে। অতঃপর ফেরেশতাদের সবাই একসাথে সিজদাবনত হলো। শুধু ইবলিস ব্যতীত। সে বড়ত্ব দেখাল; হয়ে গেল অস্বীকারকারীদের অন্তর্ভুক্ত।’ এই হচ্ছে প্রথম মানব আদম সৃষ্টির ইতিহাস।
সূরা ত্বা-হায় ১১৭-১২০ আয়াতে ইবলিসকে লক্ষ্য করে আদমকে আল্লাহ বলেছেন, ‘হে আদম- এ হচ্ছে তোমার ও তোমার স্ত্রীর দুশমন। সুতরাং এমন যেন না হয় যে, সে তোমাদের উভয়কে জান্নাত থেকে বের করে দেবে। ফলে দারুণ দুঃখ-কষ্টে পড়ে যাবে। এখানে তোমরা ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না; আর না তোমাদের পোশাকবিহীন থাকতে হবে। তুমি এখানে পিপাসার্ত হবে না; আর রোদেও কষ্ট পাবে না। শয়তান তাদের অসওয়াসা দিলো, বলল- হে আদম, আমি কি তোমাকে অনন্তদায়িনী একটি গাছের কথা বলব এবং বলব কি এমন রাজত্বের কথা, যার কখনো পতন হবে না।’
শয়তানের অসওয়াসায় আদম ও হাওয়া প্রতারিত হয়েছেন। আদম ও তার স্ত্রীর মধ্যে যে প্রবণতা দেখা গেছে, এখনকার মানুষের মধ্যেও একই মাত্রায় তা বিদ্যমান। প্রয়োজনীয় জিনিস থাকার পরও মানুষ আরো চায়। এর ফলে মানুষ পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। এর পরের অবস্থা আমরা সূরা বাকারা থেকে দেখে নেই, “এবং আমরা বললাম- হে আদম তুমি এবং তোমার স্ত্রী এ বেহেশতে বসবাস করতে থাকো এবং এখান থেকে যা তোমাদের মন চায় তাই তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে আহার করো, তোমরা এই গাছটির কাছেও যেও না। যদি যাও, তোমাদের সর্বনাশ হয়ে যাবে। অতঃপর শয়তান তাদের দুইজনের পদস্খলন ঘটাল। তারা যে বেহেশতে ছিল; সেখান থেকে তাদের বের করেই ছাড়ল। অতঃপর আমরা বললাম, তোমরা এখান থেকে পৃথিবীতে নেমে যাও। সেখানে তোমরা নিজেরা পরস্পরের শত্রু হবে। সেখানে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদের জন্য জীবনের উপকরণ থাকবে।” আয়াত : ৩৫-৩৬।
এই হলো মানুষের প্রথম পৃথিবীতে আগমন। প্রথম মানব সৃষ্টি থেকে তার পৃথিবীতে আসা পর্যন্ত পবিত্র কুরআনে আল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেন। এরপর আল্লাহ তার বার্তাবাহক পাঠিয়েছেন ধারাবাহিকভাবে। তাদের মাধ্যমে কিতাব পাঠিয়ে মানুষ ও জগৎ সৃষ্টির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য জানিয়েছেন। সুনির্দিষ্ট করে বলেছেন, একদিন দৃশ্যমান এ পৃথিবী ও আকাশ ধ্বংস হয়ে নতুন এক জগৎ তৈরি করা হবে। সবশেষ কাজটি প্রক্রিয়াধীন; বাদবাকি কথাগুলো আল্লাহ যথাযথভাবে বলেছেন। সেগুলোর প্রমাণও পৃথিবীতে মানুষ দেখতে পাচ্ছে। সমুদ্রের পানি বাষ্পাকারে উড়িয়ে বৃষ্টিপাত করাচ্ছেন। মৃত জমিনে সবুজের সমারোহ ঘটছে। প্রতিদিন সূর্য আলোকিত করছে পুরো পৃথিবী। উদ্ভিদ ও লতাপাতা সূর্যের আলোর সাহায্যে অবিরত খাদ্য উৎপন্ন করছে। এই ফল-ফসল খেয়ে মানুষসহ প্রাণিজগৎ জীবন ধারণ করছে। চাঁদও দেখা যাচ্ছে আকাশে। খাদ্যের বিশেষ গুণাগুণ তৈরিতে অবদান রাখছে চাঁদও।
আসমানি কিতাবে আল্লাহ যেভাবে মানুষ ও তার চার পাশের বর্ণনা করেছেন; এই জগৎ তেমনই দেখা যাচ্ছে। জীবন্ত সব দৃষ্টান্ত দিয়ে আল্লাহ বলছেন, কিয়ামত অবশ্যই সংঘটিত হবে। বাকি রয়েছে এ ধ্বংস (কিয়ামত)। তার আগে মানুষ বড় বড় বিপর্যয় প্রত্যক্ষ করছে। এ ধরনের বিপর্যয়ের কার্যকরণ মানুষ নিজে। মানুষ তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে না। মানুষের অনাচারে পৃথিবীর পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠছে। এর ফলে ‘প্রকৃতিক’ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। অন্য দিকে নিজেদের মধ্যে হানাহানি করে পৃথিবীকে তারা বানিয়েছে একটি নরক। সেজন্যই শেষ দিনের প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেছেন, শিগগিরই আমি অবসর সময় বের করে নেব, হে পৃথিবীর দুই বোঝা। সূরা আর রাহমান, আয়াত ৩১। মানুষের সাথে অন্য বোঝাটি জিন।
মানুষ বিশ্বাসী হলে এতসব উদ্ভট অদ্ভুত তত্ত্বের প্রয়োজন পড়ে না। অথচ মানুষ দেখছে, এক একটি তত্ত্ব সামনে আসছে আর সময়ের সাথে সাথে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে। নোয়া হারিরি যে আশঙ্কার কথা বলছেন, মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে তার কিছু আমাদের কাছে দৃশ্যমান হচ্ছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াল প্রতিক্রিয়ার কথা বলেছেন তিনি। তা এখনই দেখতে পাচ্ছে পৃথিবীর মানুষ। যেভাবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে; তাতে করে মানুষ দ্রুত নতুন নতুন বিপদের মুখোমুখি হবে। তবে সর্বশেষ বা ধ্বংসের দিনটি শুধু আল্লাহরই জানা। আল্লাহর নির্ধারিত ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ীই তা সংঘটিত হবে।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা