২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সরকারের কাছে ৮০ কোটি টাকা চাইল বাহফে

-

থাইল্যান্ডের চুনবুরিতে অনুষ্ঠিত ইনডোর হকিতে অভিষেকেই বাংলাদেশের আশাজাগানিয়া ফলাফল। ১০ দেশের মধ্যে সপ্তম। অথচ একমাত্র পিন্টু ছাড়া ইনডোর হকির নিয়মগুলো জানা ছিল না দলের বাকি সদস্যদের। তারপরও তিনটি দেশের সামনে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। প্রথম অংশগ্রহণের ফলাফল দারুণভাবে আশা জাগিয়েছে হকি কর্মকর্তাদের। তাই তো বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) ইনডোর হকির উন্নয়নে নিয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা। আগামীতে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক দুই পর্যায়েই নিয়মিত ইনডোর হকি খেলতে চায় বাংলাদেশ। তাইতো বাহফের প্রথমে চাই ইনডোর স্টেডিয়াম। আর স্টেডিয়ামের পাশাপাশি নানারকম সুবিধা সংবলিত অবয়বের জন্য সরকারের কাছে ৮০ কোটি টাকা চেয়েছে হকির উন্নয়নে স্বপ্ন দেখা নতুন কমিটি। বাহফে সহসভাপতি আবদুর রশিদ শিকদার জানান, ‘মওলানা ভাসানীতে আধুনিক ইনডোর স্টেডিয়ামসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তৈরি এবং কয়েকটি বিভাগীয় শহরে টার্ফ স্থাপন করার পরিকল্পনা আছে আমাদের। ইতোমধ্যেই আমাদের পরিকল্পনা প্রস্তাব সরকারের কাছে প্রেরণও করেছি। সব মিলিয়ে আমাদের প্রয়োজন হবে ৮০ কোটি টাকার মতো। এই অর্থ বিশেষ বরাদ্দ চেয়ে ফেডারেশন থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে চিঠি দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সেই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে।’
বাহফে সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হকের ভাষ্যমতো, ‘মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের পূর্ব অংশ ভেঙে সেখানে ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই স্টেডিয়ামে বিশাল গ্যালারির প্রয়োজন নেই। সর্বোচ্চ দুই পাশে গ্যালারিই যথেষ্ট। স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশের পুরোটা এবং তার সামনে মাঠের খালি অংশ মিলিয়ে ৬ তলা ভবন নির্মাণ করতে চাই। সেখানে ইনডোর সুযোগ-সুবিধার পাশপাশি কোচ-খেলোয়াড়দের আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারলে বছরজুড়ে ক্যাম্প করা যাবে। হকির উন্নয়নে একাডেমির বিকল্প নেই। আমরা ইনডোরসহ ভবনটি করতে পারলে বয়সভিত্তক বিভিন্ন দলের ১২ মাস অনুশীলন ক্যাম্প করা যাবে।’
ভবন, ইনডোরÑ এগুলো নির্মাণ নির্ভর করছে সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার ওপর। এর বাইরে বাহফে দেশের হকির উন্নয়নে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছে। উপমহাদেশের অভিজ্ঞ কোচ ভারতের অজয় কুমার বানসালকে ১৫ দিনের জন্য উপদেষ্টা কোচ নিয়োগ দিয়েছে। ১৫ আগস্ট ঢাকায় এসে দায়িত্ব নেয়ার কথা রয়েছে বানসালের। তিনি বাংলাদেশের কোচদের পরামর্শ দেবেন। আগামী বছরের অনূর্ধ্ব-২১ এশিয়া কাপ এবং এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য শক্তিশালী কোচিং স্টাফ তৈরি করতে যাচ্ছে ফেডারেশন। যে কারণে বাহফে দীর্ঘমেয়াদে পেতে চাইছে বানসালকে।
বিদেশী কোচিং স্টাফ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক জানান, ‘কোচ বিষয়ে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহযোগিতা চেয়েছি। আমাদের কোচিং স্টাফে ২-৩ জন বিদেশী থাকবেন। জাতীয় দলের জন্য ইউরোপিয়ান কোচ হলে ভালো হয়। এশিয়ান হকি ফেডারেশনকে (এএইচএফ) সেটাই বলেছি। আগামী বছর বাংলাদেশে দুটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হবে। এপ্রিলে হবে জুনিয়র এশিয়া কাপ এবং নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেপ্টেম্বরে এএইচএফের প্রতিনিধি আসবে ঢাকায়। তখন তাদের সঙ্গে দুটি টুর্নামেন্ট নিয়ে চুক্তি হবে। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা নভেম্বর-ডিসেম্বরে করতে চাই। কারণ, তখন আবহাওয়া ভালো থাকবে।’


আরো সংবাদ



premium cement