শ্বেতচাঁপা
- মো: আবদুস সালিম
- ১৫ জুন ২০১৯, ০০:০০
আজ তোমরা এক ধরনের ফুল সম্পর্কে জানবে। এই ফুলের নাম শ্বেতচাঁপা (চাম্পাক)। এ ফুলের রঙ সাদা। এ কারণেই হয়তো এর নাম হয়েছে শ্বেতচাঁপা বা সাদা চাঁপা। শ্বেতচাঁপা ফুটতে শুরু করে গ্রীষ্মের শুরুতেই। এ গাছের পাতা কিছুটা সরু। ফুল ফুটলে তা বেশি দিন থাকে গাছে। অনেকে বলেন, শ্বেতচাঁপা হাইব্রিড (সঙ্কর) জাত। চাম্পাককে অনেকে চম্পকাও বলে থাকেন। এর গাছ চিরসবুজ। বাকল বা ছাল মসৃণ ও ধূসর। পাতার সামনের অংশ গাঢ় সবুজ ও সুচালো। গাছে ফল আসে থোকা ধরে, যা দেখতে গোলাকার গুটির মতো। আর ফুলের অংশ দেখতে রিংয়ের মতো লাগে। গাছ বেশ বড় ও ঝাঁকড়া হয়। বীজ টকটকে লাল। চারা হয় ফলের বীজ থেকে। বীজ থেকে জন্মানো গাছে ফুল আসতে সময় লাগে প্রায় ৯ বছর। এর ফুলের ঘ্রাণ মানুষকে আকৃষ্ট করে। এ গাছের কাঠ দিয়ে উন্নতমানের আসবাব তৈরি করা যায়। এই ফুলগাছ বেশি দেখা যায় পূর্ব-উত্তর আমেরিকা, মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, পশ্চিম ভারত, দক্ষিণ আমেরিকা, শ্রীলঙ্কা, চীন, জাপান, কোরিয়াসহ আরো কিছু অঞ্চলে। জানলে তোমাদের ভালো লাগবে আর তা হচ্ছে, শ্বেতচাঁপা ফুলগাছ মাঝে মধ্যে বাংলাদেশেও দেখা যায়। গাছ বেশি ভালো থাকে বৃষ্টিস্নাত স্থানে। অবশ্য দেশ বা অঞ্চলভেদে গাছ, ফুল, ফল ইত্যাদির ধরনে সামান্য ব্যবধান হতে পারে। যেমন চীনের পাহাড়ি অঞ্চলে জন্মানো এ গাছে পাতা অপেক্ষাকৃত বড় এমনকি ফুলের আকারও বড়।
শ্বেতচাঁপার উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ম্যাগনোলিয়া চাম্পাকা। এর আরো শ্রেণিবিন্যাস আছে। এগুলো হলোÑ চায়নিজ ম্যাগনোলিয়া, ম্যাগনোলিয়া লিলিফ্লোরা (লাল), স্টার ম্যাগনোলিয়া (সাদা), ইউলান ম্যাগনোলিয়া, ম্যাগনোলিয়া কবাস, সুইটবয় ইত্যাদি। এর ফল দেখতে অনেকটা ছোট ভুট্টার মতো। এরা ম্যাগনোলিয়াসিয়াক পরিবারভুক্ত গাছ। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এর রয়েছে অগণিত প্রজাতি ও রঙ। শ্বেতচাঁপা ফুল দিয়ে অ্যাজমা, অ্যালার্জি, বিষাদ প্রভৃতি রোগের ওষুধ তৈরি হয়। যে কারণে অনেক দেশে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন ও ব্যবহার রয়েছে। যে দেশে বাণিজ্যিক উৎপাদন কম, সে দেশে এসবের সংখ্যা ক্রমেই কমছে বলে জানা গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবও পড়ছে এর ওপর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা