সময় বাড়িয়েও সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী কোটা পূরণ হচ্ছে না
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৫ মে ২০১৯, ০৭:২০
দফায় দফায় সময় বৃদ্ধি করেও সরকারি ব্যবস্থাপনার সাত হাজার হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। প্রায় এক মাস আগে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার নিবন্ধন বন্ধ করে দেয়া হলেও সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য নিবন্ধনের সময় আগামী ২০ মে পর্যন্ত আবারো বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিতদের কেউ সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে চাইলে তাকে নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। গতকাল এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বলা হয়েছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনের কোটা এখনো খালি আছে। আগে এলে আগে প্রাক-নিবন্ধনের ভিওিতে প্রি-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে। যারা ইতোমধ্যে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন করেছেন কিন্তু বেসরকারি এজিন্সির কোটা পূর্ণ হওয়ায় হজে যেতে পারছেন না সেসব আগ্রহী ব্যক্তিকে কোটা খালি সাপেক্ষে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনের জন্য আগামী ২০ মের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নিকটস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকা আশকোনা হজ অফিস এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে যোগাযোগ করে প্রাক-নিবন্ধন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
গাইড বাদ দিয়ে চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর কোটা ছয় হাজার ৮১৭ জন। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ছয় হাজার ৫৫৩ জন। এই হিসাবে ৩৬৩ জনের কোটা খালি রয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এ বছর মোট এক লাখ ২০ হাজার হলেও গাইড ও মোয়াল্লেম বাদ দিয়ে এক লাখ ১৫ হাজার ৪১০ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন করে গত ১৭ এপ্রিল নিবন্ধন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনার কোটা পূরণ না হওয়ায় এরপরও দুইবার সময় বাড়ানো হয়।
চলতি বছরের হজের মূল নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয় সরকারি ব্যবাস্থাপনার গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। এ বছর প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীদের নিবন্ধনের প্রবণতা কম হওয়ায় পাঁচ দফায় সময় বৃদ্ধি করেও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর কোটার কাছাকাছি হজযাত্রীর নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়। ফলে এই বছর কোটার অতিরিক্ত হয়ে আছেন এমন হজযাত্রীর সংখ্যা নেই বললেই চলে। প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক সংখ্যা বেশি হলেও অনেকে আগামী বছরের জন্য প্রাক-নিবন্ধন করে রেখেছেন বলে এজেন্সি মালিকরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের সর্বমোট কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে মাত্র সাত হাজার ১৫৮ জন সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য রাখা হলেও এই কোটা এখন পূরণ হয়নি। হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে হজযাত্রীদের সরকারি ব্যবস্থাপনার চেয়ে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়ার প্রবণতা বেশ কয়েক বছর ধরেই বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা