কয়েকজন বিশপ সন্ন্যাসিনীদের যৌন নিগ্রহের সঙ্গে জড়িত
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:০৬
সন্ন্যাসিনীদের যৌন নিগ্রহের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন বিশপ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা স্বীকার করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। গত সপ্তাহে ভাটিকান থেকে প্রকাশিত নারীবিষয়ক এক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত অভিযোগ তোলা হয় তার প্রেক্ষিতেই প্রশ্নের জবাব দেন।
পত্রিকায় বলা হয়, যৌন নিগ্রহের পর সন্ন্যাসীদের গর্ভপাতের জন্য চাপও দেয়া হয়। গত বছর কেরালার এরকম একটি ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। তার আগেও একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কেরালার ক্যাথলিক চার্চের এক বিশপের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতা দাবি করেন একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। সাংবাদিক দের প্রশ্নের উত্তরে পোপ বলেন, আমার মনে হয় এ ধরনের ঘটনা এখনও ঘটছে। পাশাপাশি তিনি জানান এসব যাতে বন্ধ করা যায় তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নারীদের সুরক্ষা দিতে তারা বব্ধপরিকর।
" আরো কিছু করা উচিত "
এ মাসের ‘ওমেন চার্চ ওয়ার্ল্ড' - পত্রিকায় ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল একাধিক ঘটনার পর নির্যাতনের শিকার মহিলারা চুপ থেকেছেন। কখনও বা চুপ থাকতে বাধ্য হয়েছেন। আফ্রিকার একটি ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। নয়ের দশকে আফ্রিকায় এ ধরনের অভিযোগ ওঠে কিন্তু তার উপর ভিত্তি করে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। একথা উল্লেখ করেই প্রতিবেদনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি পদক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করেন মহিলারা। পোপ ফ্রান্সিসও সেটাই জানালেন।
কেরালার মুলাক্কালের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ২১০৮ সালে। নির্যাতনের শিকার মহিলারা দাবি করেন ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বার তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত বিশপকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার আগে চার্চের দায়িত্ব থেকেও অব্যহতি দেওয়া হয় তাঁকে। তবে প্রথম থেকেই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন বিশপ। কিন্তু নিজের দাবিতে প্রথম থেকেই অনড় থেকেছেন নির্যাতনের শিকার হওয়া মহিলা।
গাড়িচালকের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া, বীভৎস ঘটনা ঘটালেন চিকিৎসক স্বামী
ভারতের মধ্যপ্রদেশের হোসাঙ্গাবাদ থেকে একজন নামী অর্থোপেডিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, তিনি নিজের ৩০ বছর বয়সী গাড়িচালককে খুন করে তার লাশ টুকরো টুকরো করে কেটে সেগুলো অ্যাসিডে ডুবিয়ে বাড়িতে রেখেছিলেন যাতে সব তথ্য প্রমাণ লোপাট করা যায়। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
৫৬ বছর বয়সী চিকিৎসক সুনীল মন্ত্রীকে নিজের গাড়িচালক বীরেন্দ্র পচৌরিকে সোমবার খুন করেন। বীরেন্দ্র সন্দেহ করতেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে ওই চিকিৎসকের সম্পর্ক ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই চিকিৎসকের স্ত্রী বাড়িতেই একটি বুটিক চালাতেন। তবে বীরেন্দ্রর মৃত্যুর পর থেকে বীরেন্দ্রর স্ত্রী পলাতক। ‘গাড়িচালকের স্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসকের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল, আর তাই তিনি পালিয়ে গিয়েছেন', বলে পিটিআই-কে জানিয়েছেন পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট অরবিন্দ সাক্সেনা।
অরবিন্দ আরো বলেছেন ওই চিকিৎসক প্রথমে বীরেন্দ্রকে মাসে ১৬ হাজার টাকা প্রতি মাসে মাইনে তার বিনিময় গাড়ি চালক হিসেবে রেখেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকের অভিযোগ, বীরেন্দ্র তাকে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিল স্ত্রীর থেকে দূরে থাকার জন্য।
মঙ্গলবার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট বলেন, ‘‘আমরা ওই চিকিৎসকের বাড়িতে গোপন কোনো কাজ চলছে খবর পেয়ে পৌঁছই।'' পুলিশ দেখে, চিকিৎসক অত্যন্ত অস্থির হয়ে রয়েছেন এবং মেঝেয় রক্তের দাগ। বাড়িতে পুলিশ দেখে চিকিৎসক ভেঙে পড়েন এবং নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন।
ডক্টর মন্ত্রী ইত্রাসির সরকারি সিভিল হাসপাতালে কাজ করতেন। জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই নিজের গাড়িচালককে খুন করার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। সে জন্য বাড়িতে এক গ্রাম ভর্তি অ্যাসিড এবং কাটারি মজুত করে রেখেছিলেন।
সোমবার যখন বীরেন্দ্র পাচৌরি নিজের দাঁতে ব্যথা হচ্ছে বলে ডাক্তারের কাছে আসে চিকিৎসক তাকে বসিয়ে রেখে সুযোগ বুঝে সার্জিকাল ছুরি দিয়ে তার গলা কেটে দেন। তখন রাত ন'টা। এরপরে তিনি দ্রুত হাতে তার গলার আরো বেশ কিছু জায়গা কেটে দেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ অফিসার বলেন, ‘‘ওই ড্রাইভারকে খুন করার পরে চিকিৎসক তার লাশটা একতলার শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে টুকরো টুকরো করে কাটেন। এই পদ্ধতি চলে প্রায় রাত একটা পর্যন্ত। এর পরে তিনি ক্লান্ত হয়ে স্থির করেন বাকি অংশটা পরের দিন ব্যবস্থা করবেন। পরের দিন সকালে তিনি বীরেন্দ্রর জামাকাপড় সরিয়ে ফেলেন। সেগুলো এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুপুরের দিকে তিনি লাশের টুকরোগুলোকে অ্যাসিডে ডুবিয়ে তথ্য প্রমাণ লোপাটের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তখনই পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ড্রাইভারের দেহের অনেকগুলো টুকরো পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা