২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নারীঘটিত বিষয়ের জের ধরেই খুন হন সৈয়দপুরের সেই দম্পতি!

খুন
স্বামী-স্ত্রীকে খুন করে নিজেকেও রক্তাক্ত করেন রাজ্জাক - ছবি : নয়া দিগন্ত

নীলফামারীর সৈয়দপুরের খাতামধুপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে পশুখামারে গলা কেটে দম্পতিকে খুনের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে প্রধান আসামি নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাক। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশ রাজ্জাককে হাজির করলে তিনি বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মঙ্গলবার রাতে সৈয়দপুর থানায় প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানিয়েছেন, নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল।

তিনি আরো জানান, আব্দুর রাজ্জাক তার দেয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছে মামলার বাদী সোহেল তাকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করতেন এবং মালিক দম্পতি ঠিক মতো বেতন দিতেন না। ছুটি কাটাতে দিতেন না। নারীঘটিত একটি বিষয় নিয়ে তার নামে কুৎসা রটনা করতেন। সেই মেয়ের সাথে বিয়ের চাপ দিতেন। যা নিয়ে বিচার-সালিশী বৈঠক হয়েছিল। ঘটনার রাতেও ওই দম্পতির সাথে বিভিন্ন বিষয়ে বচসা হয়। এরই জের ধরে প্রথমে সালমা বেগমকে এবং পরে নজরুল ইসলামে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিজের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি সকালে খাতামধুপু ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের লিজ নেয়া নিজ পশুখামার থেকে সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার বাসিন্দা, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক কর্মচারী নজরুল ইসলাম (৬৫) ও তার স্ত্রী সালমা বেগমের (৫৫) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ গুরুতর আহত ওই খামারের নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাককে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল ভর্তি করে।

সেদিনেই নিহত দম্পতির ছেলে সোহেল একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আসামিরা হলেন, ডিমলার বাবুর হাটের খয়রাত হোসেনের পুত্র নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), খাতামধুপুর বালাপাড়ার হাজী আসলামের পুত্র সজল (২৫), সজলের বন্ধু সুজাত, পিতা অজ্ঞাত, কাউয়া (৫০), পিতা- অজ্ঞাত।

চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর পুলিশ মঙ্গলবার তাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করে। পরে আদালতে হাজির করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল