একসাথে ৪ সন্তান প্রসব
- সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর অফিস
- ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:০৫
রংপুর মহানগরীর একটি বেসরকারী ক্লিনিকে শুক্রবার বিকেলে একসাথে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী। তার নাম হাসিনা আখতার পপি (২৭)। বাড়ী গাইবান্ধায়। এরমধ্যে ২ শিশু মেয়ে ও ২ শিশু ছেলে।
চিকিৎকরা জানিয়েছেন মা এবং শিশুরা ভালো আছেন।
রংপুর প্রাইম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক গাইনি বিষেশজ্ঞ লায়লা হাসনা বানু নয়া দিগন্তকে জানান, গাইবান্ধা সদর উপজেলার সিংহপুর গ্রামের মহসীন আলীর স্ত্রী হাসিনা আখতার পপি শুক্রবার সকালে প্রসব বেদনা উঠলে তাকে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালেরও এনআইসি ওয়ার্ডে ওই গৃহবধূর অস্ত্রপচার করলে পরপর চার সন্তানের জন্ম হয়। এরমধ্যে ২ জন ছেলে ও ২ জন মেয়ে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ্য আছেন।
গৃহবধু পপির বড় ভাই মোস্তাকিন রহমান শিশির জানান, ৮ বছর আগে আমার বোনের বিয়ে হয়। দুলাভাই ঢাকায় চাকরি করেন। বিয়ের পর এই প্রথম তাদের এক সঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হলো। চার সন্তানের জন্ম হওয়ায় সবাই খুশি।
এদিকে একসাতে চার সন্তানের জন্ম হওয়ার খবর শুনে হাসপাতালে উসুক মানুষ ভির করেছে।
অপারেশন ছাড়াই একসাথে ৪ সন্তানের জন্ম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা (৩১ মে ২০১৮)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কোনো ধরণের অপারেশন ছাড়াই একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন পিয়ারা বেগম নামে এক মা। এই চার নবজাতককে দেখতে হাসপাতালে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
বুধবার সকালে নবীনগর পৌরশহরের গ্রামীন জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিনি এই চার সন্তান প্রসব করেন। জন্ম নেয়া শিশুদের মধ্যে ১টি ছেলে ও ৩টি মেয়ে বলে জানা গেছে।
পিয়ারা বেগম রায়পুরা উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী হোসেন মিয়ার স্ত্রী ও নবীনগরে উপজেলার নাসিরাবাদ গ্রামের জিতু মিয়ার মেয়ে।
গ্রামীন জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা. সামী ত্ব-হা কবীর (মীম) বলেন, সকালে প্রসূতি মা ব্যথা অনুভব হলে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে আসেন। কোনো প্রকার অপরেশন ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে চার শিশুর জন্ম দেয় মা। বর্তমানে মা ও শিশুগুলো সুস্থ রয়েছে।
পিয়ারা বেগমের চাচীশাশুড়ি ফুলনাহার বেগম বলেন, স্বাভাবিকভাবেই চার সন্তান হয়েছে। মা ও সন্তান সবাই ভালো আছে। তাদের আগে একটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে রয়েছে।
প্রসূতির স্বামী ও প্রসূতি এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে এক সাথে চার সন্তান প্রসব করায় পিয়ারা বেগমের পরিবারের স্বজনরা খুবই আনন্দিত। তারা এটিকে সৌভাগ্য বলে মনে করছেন।
সাদুল্যাপুরে একসাথে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন আরজিনা
সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা, (২১ এপ্রিল ২০১৬)
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে আরজিনা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূ একই সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনি উপজেলার কিশামত শেরপুর গ্রামের শিরিকুলের স্ত্রী। বিয়ের ১২ বছর পর দীর্ঘ দিনের বন্ধ্যাত্ব ঘুচিয়ে একসাথে জন্ম দিলেন পাঁচটি সন্তানের। এই সন্তান জন্মদানের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বনগ্রাম ইউনিয়নের বদলাগাড়ী গ্রামের আরজিনা বেগমের সাথে আব্দুল শফু শেখের ছেলে শিরিকুল ইসলামের (৩৫) বিয়ে হয় প্রায় ১২ বছর আগে। বিয়ের পর থেকে দীর্ঘ দিনেও তাদের সন্তান না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে অপাঙক্তেয় হয়ে ওঠেন আরজিনা। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে তার প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সন্ধ্যায় গাইনি ডাক্তার সিরাজুম মুনিরা ডেইজির নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক সফল অস্ত্রোপচার করেন। জন্ম লাভ করে একে একে পাঁচটি ফুটফুটে সন্তান। যার তিনটি ছেলে ও দু’টি মেয়ে।
আরজিনার শ্বশুর আবদুল সফু শেখ এখন মহা আনন্দিত। নাতি-নাতনি জন্মের সাথে সাথেই তিনি কিনে নিয়ে আসেন প্রয়োজনীয় ওষুধপথ্যসহ পরিচর্যার অন্যান্য সামগ্রী।
আরজিনার স্বামী শিরিকুল ঢাকার ইবাইস গার্মেন্টে কাজ করেন। তিনি এখন স্ত্রীর শয্যা পাশে। ডা: সিরাজুম মুনিরা বলেন, সব সন্তানই সুস্থ রয়েছে। ওজন ভালো আছে। একটি সন্তান কিছুটা দুর্বল হলেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
দুই বছরে জন্ম হলো যজম ভাইবোনের
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০৩ জানুয়ারি ২০১৬
তারা যমজ। অথচ দু’জনের জন্মের ফারাক এক বছরের। কথাটা শুনেই মনে হবে এমনটা আবার হয় নাকি! তা বলে এক বছরের ফারাক! হ্যাঁ, এমনটাই হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
একজনের (মেয়েশিশুটির) জন্ম ২০১৫-য়। আর একজন (ছেলেশিশুটির) জন্মেছে ২০১৬-য়। অপারেশন টেবিলে তখন শুয়ে ওই মহিলা। সময় ২০১৫-র ৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টা। ঠিক ১১টা বেজে ৫৯ মিনিটে জন্ম দেন প্রথম সন্তান। আর দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয় তার ঠিক দু’মিনিট পরেই। তখন ২০১৬-র ১ জানুয়ারি।
দু’মিনিটের ফারাকে জন্ম হলেও বছরের দিক থেকে কিন্তু আলাদা। দু’জনের বয়সের ফারাক হয়ে গেল এক বছর।
যমজ দুটি সুস্থ আছে। তবে তাদের মা আর বাবা বলেছেন, তারা কিন্তু আলাদা বছরে তাদের সন্তানের জন্ম চাননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা