প্রাইভেট পড়ানোর সময় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ : অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল বরখাস্ত
- মান্দা (নওগাঁ) সংবাদদাতা
- ২৫ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৪০
নওগাঁর মান্দায় নবম শ্রেণির (১৪) এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছোট চকচম্পক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার ৬ দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছোট চকচম্পক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আমিনুল ইসলামের ছাত্রী কেলেঙ্কারীর ঘটনাটি এলাকার সবমহলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। এছাড়া ভিকটিম শিক্ষার্থীর পরিবার এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরও করেছেন। এতে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এদিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা অবহিত করতে বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম। শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ধর্ষণের ঘটনায় মান্দা থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি উল্লেখ করে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তার দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, থানায় মামলা দায়েরের ৪ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক আমিনুল ইসলামকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। শিক্ষক আমিনুল ইসলাম প্রভাবশালী হওয়ায় চরম আতঙ্কে রয়েছে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারটি। অবিলম্বে আসামিকে আটকের জোর দাবি জানান তারা।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মান্দা থানার এসআই আমিরুল ইসলাম বলেন, আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, নওগাঁর মান্দা উপজেলার ছোট চকচম্পক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আমিনুল ইসলাম গত ১৮ অক্টোবর সকালে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। শিক্ষক আনিমুল ইসলাম ছোট চকচম্পক গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার দিন সকালে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ওই শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলাম উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের ছোট চকচম্পক গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে এবং ছোট চকচম্পক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
ভিকটিম শিক্ষার্থীর দাদি জানান, গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে আমার নাতনিকে প্রাইভেট পড়ার জন্য প্রতিবেশী শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বাসায় নিয়ে যাই। এ সময় সেখানে আর কোনও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল না। এ অবস্থায় নাতনিকে সেখানে রেখে আমি বাসায় চলে আসি। এর কিছু পরে নাতনি কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরে আসে। পরে তার মায়ের কাছে শিক্ষক আমিনুল জোর করে তাকে যে ধর্ষণ করেছে সে বিষয়টি জানিয়ে দেয়।
শিক্ষার্থীর দাদি আরও বলেন, অন্য শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক আমিনুল ইসলাম আমার নাতনিকে ডেকে বাসার তিন তলার একটি কক্ষে নিয়ে যায় । সেখানে মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে। শিক্ষক আমিনুলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম শিক্ষার্থীর মা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলামের নিকট গেল শনিবার মৌখিক অভিযোগ দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। অবশেষে গত সোমবার ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মান্দা থানায় শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা