থানায় ২ সন্তানের জননীকে পেটানোর ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড
- বগুড়া অফিস
- ১২ জুলাই ২০১৯, ২০:৪০
বগুড়ার ধুনটে পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে থানায় ডেকে নিয়ে কহিনুর খাতুন (৪২) নামে দুই সন্তানের জননীকে পিটিয়ে আহত করায় এএসআই শাহানুর রহমানকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত কহিনুর ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত কহিনুর জানায়, তিনি বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া বৌ-বাজার এলাকায় থাকেন। দুই সন্তানের জননী কহিনুর খাতুন বগুড়া জজ কোর্টের সামনে খাবারের দোকাস দেয়। ওই সময় এএসআই শাহানুর বগুড়ায় কর্মরত ছিল। সেই সুবাদে কহিনুরের দোকানে খেত শাহানুর। এসময় তাদের দুজনের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে।
ওই সময় শাহানুর কহিনুরের নিকট থেকে ৬০ হাজার টাকা ধার নেয়। টাকা চাইলে কুপ্রস্তাব দেয়। ওই টাকা না পাওয়ায় টাকা চেয়ে শাহানুরকে উকিল নোটিশ দেয় কহিনুর। কিন্ত উকিল নোটিশে সাড়া দেয়নি শাহানুর রহমান। তাই বগুড়া আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার প্রস্তুতি নেয় কহিনুর। খবর পেয়ে শাহানুুর রহমান এক সপ্তাহ আগে কহিনুর খাতুনকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে।
ওই কথার প্রেক্ষিতে আজ সকালের দিকে কহিনুর খাতুন পাওনা টাকার জন্য ধুনট থানায় যায়। এ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাহানুর রহমান পিটিয়ে থানা থেকে কহিনুরকে বের করে দেয়। আহত কহিনুর ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এলে সেখানেও পেটানো হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন কহিনুর খাতুনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা শাহানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সে আমাকে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছিল। অবশেষ ঝামেলা এড়াতে তাকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে আপোষ নামায় স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তারপরও থানায় এসে আমাকে মামলার ভয়ভীতি দেখালে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে চড়থাপ্পর মেরেছি।
ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে মহিলা থানার পাশে ধুনট মহিলা কলেজের সামনে আসে। সেখানে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে চড়থাপ্পড় মারা হয। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করি। পরে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় এএসআই শাহানুরকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা