দিল্লিতে মুসলমান হত্যার প্রতিবাদে ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির বিক্ষোভ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ মার্চ ২০২০, ২০:৩৩
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর চলমান সহিংসতার প্রতিবাদে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণের নিন্দা জ্ঞাপন করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটি।
সোমবার বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি মাওলানা আবু তাহের জিহাদীর সভাপতিত্বে সমমনা ইসলামী দলসমূহের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সমন্বয়ক ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা আহমদ উল্লাহ কাসেমী, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব মাওলানা ফয়জুল্লাহ আশরাফী, বেফাকের কেন্দ্রীয় উস্তাদ মুফতি বাহাউদ্দীন, মুফাসসির পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জাকির হোসাইন, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, গণসভা আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা বনী ইয়ামিন, কাসেমী পরিষদের আমীর শায়খ আবুবকর কাসেমী, খতীব পরিষদের আমীর শায়খ মুফতি মাসউদুর রহমান, জাতীয় ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমান, ইসলামী অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টস ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা শেখ মহিউদ্দীন, আহকামে শরীয়া হেফাজত কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুস সবুর মাতুব্বর, অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মাওলানা হাবিবুর রহমান, মুহাদ্দিস আবুল হাসান, মাওলানা ফয়জুল্লাহ, মুফতি ফরিদুল আলম প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ভারতকে মুসলিম নিধন বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, দেশের শান্তিশৃংখলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে ভারত সরকারের মুসলিমবিদ্বেষী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিল করতে হবে। একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে আমরা জীবন দিয়ে রুখে দিব ইনশাআল্লাহ।
ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন,ভারতের চলমান মুসলিম গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ, ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভারতীয় সরকারের ছত্রছায়ায় এই গণহত্যার প্রতিবাদ জানানো সকল ঈমানদারদের সোচ্চার হওয়া ঈমানী দাবি। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলায় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী কাউকে আনা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য বেমানান। নরেন্দ্র মোদি মুসলিম নিধন ও ইসলাম বিদ্বেষী কার্যক্রম বন্ধ করলে আমরাই তাকে ফুলের মালা দিয়ে রিসিভ করব। অন্যথায় এদেশে তাকে বরদাশত করা হবে না। মোদির সফরকে ফলপ্রসূ করার জন্য আগত ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকে আমরা বলতে চাই আমাদের দেশের মেহমান হিসেবে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন। তবে এদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ মুসলিম উম্মাহ, বিশ্ব মুসলিম সমাজ যেহেতু এদেশে তাকে চায় না সেহেতু সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর ওয়াস্তে মোদির সফর বাতিল করুন।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আবু তাহের জিহাদী বলেন, আমাদের দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, অমুসলিমরা একসঙ্গে বসবাস করছে। এদেশে ভারতের সাম্প্রদায়িক সরকারের রাষ্ট্র প্রধানকে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে দিবো না। মুজিববর্ষের বক্তা হিসেবে বাংলার জমিনে পা রাখতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেন তিনি। দল মত নির্বিশেষে ভারতের দিল্লিতে মুসলিম হত্যা ও মসজিদ পুড়ানোর বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি