বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবি বিএনপির
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:০৭
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, জনবিচ্ছিন্ন বর্তমান সরকার গণমানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা না করে আবারো বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধি এবং আগামী মার্চ থেকে তা কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান বিনা ভোটের সরকার জবাবদিহিতার তোয়াক্কা করে না বলেই একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।
বাংলাদেশ রেগুলেটরী কমিশন বিদ্যূতের দাম বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে, যা মার্চ থেকে কার্যকর হবে। ইউনিট প্রতি বিদ্যূতের দাম বেড়েছে ৩৬ পয়সা। দাম বৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠলেও সরকার তা পরোয়া করে না। দূর্নীতি ও লুটপাটের ওপর নির্ভর করার জন্য জনগণের কষ্টের কথা বিবেচনায় না নিয়ে বিদ্যূতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতোপূর্বে কয়েকবার বিদ্যূতের মুল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যখন ক্ষুব্ধ তখন আবারও নতুন করে বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই বর্তমান সরকার জনগণের ভালমন্দ বিচার করতে চায় না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের ব্যাপক পরাজয় হবে, সেজন্য জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতেই দফায় দফায় বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করছে তারা। সরকারের উন্নয়ন বুলির আড়ালে লুটপাটের মহোৎসবের কাহিনী এখন মানুষের মুখে মুখে। বিদ্যুতের এই মূল্য বৃদ্ধি সরকারের লুটপাটেরই বর্ধিত প্রকাশ। এই মূল্য বৃদ্ধিতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। স্বল্প আয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহারকারিরা দুর্বিষহ অবস্থায় পড়বে। কলকারখানা ও কৃষিতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। সরকারের প্রতিটি নীতি হচ্ছে হরিলুটের নীতি, জনগণ মরে যাক, তাতে সরকারের কিছুই আসে যায় না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণবিরোধী সরকারের অংকটি খুবই সোজা। তারা চুরি করে ক্ষতির টাকা জনগণের পকেট থেকে কর্তন করবে। আমি বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় রাজপথে নেমে জনগণ বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোচ্চার হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা