কেন্দ্রে ভোটারের চেয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা বেশি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৫৭, আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:০৮
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। প্রধান দুইদলের পক্ষ থেকে আসছে নানা অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ। বিএনপি প্রার্থীদের নানা অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও নেতারা দাবি করছেন ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। তবে বাস্তব চিত্র বলছে, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারের চেয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের এজেন্টের সংখ্যাই বেশি। কেন্দ্রগুলোর বাইরে নৌকার ব্যাজ পরিহিত মানুষ ভিড় করে আছে কিন্তু ভেতরে ভোটার নেই।
বিবিসির সংবাদদাতা আকবর হোসেন জানাচ্ছেন: ভোটগ্রহণের অর্ধেকের বেশি সময় পার হয়েছে। সকাল থেকে মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকার ১২টি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম। মিরপুর এলাকায় যতগুলো কেন্দ্রে গিয়েছি সেখানে গড়ে পাঁচ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। আমার দেখা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ কেন্দ্রে। এখানে সাড়ে চার ঘণ্টায় ১৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।
১০০ কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ বিএনপির
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবদুস সালাম আজাদ অভিযোগ করেছেন যে, একশোটি কেন্দ্রে তাদের এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে। তারা এই অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন, কিস্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানতে পারেননি।
কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব প্রার্থী ও সমর্থকদের : সিইসি
কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। আমরা ভোট দেয়ার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করেছি বলেও দাবি করেন তিনি।
ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের করে দেয়ার বিষয়েও মন্তব্য করেন সিইসি। তিনি বলেন,‘কোনো দলের এজেন্টরা অভিযোগ করলে সেটি কেন্দ্রে উপস্থিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানাতে হবে। আর এজেন্টদেরও সেরকম সামর্থ্য থাকতে হবে কেন্দ্রে টিকে থাকার। একজন বেরিয়ে যেতে বললেই বেরিয়ে গেলে হবে না।’ সূত্র : বিবিসি।