ঢাকার ২ সিটিতে কোনো বিতর্কিত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে না : ওবায়দুল
- নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা
- ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৩৭, আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:০৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো বিতর্কিত প্রার্থীকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দেয়া হবে না। মেয়র পদে বিজয়ী হতে পারে জনপ্রিয় এমন প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজে বিভিন্ন সংস্থা ও তার নিজস্ব টিম দিয়ে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জরিপ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভোগরা-জয়দেবপুর-মদনপুর (ঢাকা-বাইপাস) সড়কে নির্মাণাধীন ছয় লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় এই সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জাওয়াদ আলম, এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক সবুজ উদ্দিন খান, চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ ই লি জিমপিংসহ সড়ক ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করতে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। সরকার ও সরকারি দল সিটি নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জীবিকার চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। এজন্য সবাইকে সড়কে চলাচলের সময় ট্রাফিক আইন মেনে চলতে এবং মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের হেলমেট ব্যবহারের আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, উঠতি বয়সের তরুণরা ও রাজনৈতিক নেতারা ঢাকা এবং ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ ট্রাফিক আইন মেনে চলে না। মহাসড়কগুলোতে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় নছিমন-করিমন-ভটভটি থ্রি হুইলার চলাচল করছে। তাদের ভোটের জন্য এই পরিবহনগুলো ব্যবহারে উৎসাহিত করছে। এই পরিবহনগুলো সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে বিগত দিনে সড়ক দুর্ঘটনার হার কমলেও দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে। শুধু ট্রাফিক আইন মেনে না চলার কারণে এটা হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। মাঝখানে প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ কিছুটা মন্থর গতিতে চলছিল। অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। যে কারণে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
তিনি বলেন, ‘চীনের বেসরকারি কোম্পানি সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ গ্রুপ করপোরেশন লিমিটেড, শামীম এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড যৌথভাবে ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজের জন্য। এই পিপিপির আওতায় ঢাকা বাইপাস সড়কের নির্মাণকাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে শেষ হবে। এই প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২২৩ কোটি টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় অনুদান হিসেবে বরাদ্দ দেবে। বাকি টাকা পিপিপির আওতায় চুক্তিবদ্ধ বিদেশি দুটি কোম্পানি বহন করবে। জমি অধিগ্রহণ ও সার্ভিস চার্জ হিসেবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ পাঁচ শ’ কোটি টাকা ব্যয় করবে। বাকি বাকি তিন হাজার ২৭৬ কোটি টাকা বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবেন। ২০২২ সালের মধ্যে ঢাকা-বাইপাস সড়কের ছয় লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেস সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হবে।’