ড. ইউনূসকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:২০, আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:২২
দেশে ফিরলে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ ড. ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিমের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
ড. ইউনূস দেশে ফিরলে তাকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এ সময়ে তিনি যাতে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে পারেন, সে জন্য তাকে হয়রানি বা গ্রেফতার না করতে এ আদেশ দিয়েছেন আদালত। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ।
জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে কিছু শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তাতে বাধা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন শ্রমিক ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকে বিবাদী করে মামলা করেন। মামলায় আসামিদের উপস্থিতির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর। মামলায় অপর দুই আসামি নাজনীন সুলতানা ও খন্দকার আবু আবেদীন উপস্থিত থাকলেও বিদেশে অবস্থান করায় ড. ইউনূস উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী। এরপর আদালত আসামিদের উপস্থিতির জন্য সমন জারি (নোটিশ) করেন। মামলার তিন বাদী হলেন-প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, একই সংগঠনের প্রচার সম্পাদক শাহ আলম ও সদস্য এমরানুল হক।