ঋণ খেলাপীরা হালাল হয়ে যাওয়ার বিষয়গুলো সংসদে তুলবে ওয়ার্কার্স পার্টি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৭ মে ২০১৯, ১৭:০৯
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, অর্থমন্ত্রীর আনুকূল্যে বড় বড় ঋণ খেলাপীরা এবার দশ বছরের জন্য হালাল হয়ে গেল। তারপরও আরও ছয়মাসও তারা কিস্তি না দিয়ে থাকতে পারবে।
তিনি বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি এ বিষয়গুলো সংসদে তুলবে। কিন্তু কতটুকু আলোচনা হবে বলা যায় না।
শুক্রবার পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভায় পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি ঋণ খেলাপী সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য ঘোষিত প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে একথা বলেন।
এপ্রসঙ্গে মেনন বলেন, গত সংসদ অধিবেশনে ঋণখেলাপী নিয়ে আলোচনার নোটিশ দেয়া হলেও, আলোচনাই আসেনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন লুটেরাদের হাতে জিম্মি। রাজনীতিকেও ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। এই অবস্থার অবসানে জনগণের বিভিন্ন অংশকে জেগে উঠতে হবে। সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে এক হতে হবে। ওয়ার্কার্স পার্টি সেই লক্ষ্যে নিজেকে সংগঠিত করছে। সংগঠন-আন্দোলন দিয়েই কেবলমাত্র বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ঋণ খেলাপীদের দশ বছরে ব্যাংক তাদের টিকিটি ছুতে পারবে না। বরং তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে হবে। আর যারা নিয়মিত কিস্তি দেবেন তাদের কপালে জুটবে ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে ছবি আর এক বছরের সুদের ১০%। সুতরাং এখন থেকে সবাই ঋণখেলাপী হবে, এটাই হবে বাস্তবতা। ব্যাংকিং খাতের নতুন স্লোগান হবে “আমরা সবাই ঋণখেলাপী হব, জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করবো।”
মেনন বলেন, আইনের বরখেলাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে একাজ করে তার থাকার প্রয়োজনীয়তা হারিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তার সর্বশেষ এই প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে ব্যাংক খাতের লুটপাটকেই অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করে দিল।
মেনন বলেন, যেখানে হাজার হাজার কোটি এভাবে লুট হয়ে যায় সেখানে পাটকল শ্রমিকদের মাত্র ৬৫ কোটি টাকা বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঘোরতর আপত্তি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ, এমনকি সরকারের শ্রম মন্ত্রীর কথাও তারা কানে তুলতে নারাজ।
এদিকে ধানের মূল্য না পাওয়ায় কৃষকের কপাল পোড়া অবস্থার উল্লেখ করে মেনন বলেন সরকারি হিসাবেই যেখানে এক কেজি চাল উৎপাদন করতে ৩৬ টাকা খরচ হয়, সেখানে সরকারি চাল ক্রয়মূল্যও ৩৬ টাকা। অর্থাৎ কৃষককে সামান্য লাভও দিতে চায় না সরকার। আর এই সরকারি ক্রয়ের লাভের গুড় পিপড়ে - অর্থাৎ চালকল মালিক, আড়তদার ও আমদানিকারকদের সিন্ডিকেট- খেয়ে নেয়।
মেনন বলেন, ঐ ঋণখেলাপীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে কৃষকদের মূল্য ভর্তুকী দেয়া যেত। কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে কৃষকের কাছেই রাখা যেত।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য শফিউদ্দিন আহমদ, জেলা কমিটির সম্পাদক হিমাংশু সাহা, জেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ কমরেড নাসির হোসেন, কমরেড বাহারউদ্দিন, কমরেড মাঈনুদ্দিন বারী, কমরেড রবিউল চৌধুরী ও কমরেড আবুল হোসেন পাঠান উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা