স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করে দেয়া হয়েছে : ফখরুল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৬ মার্চ ২০১৯, ২১:৪৩, আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯, ১৩:২০
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্র। কিন্তু আজকে দূর্ভাগ্য আমাদের, এতোবছর পরেও মূল এই চেতনাকে ধূলিসাৎ করে দেয়া হয়েছে। গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছে। সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। বাংলাদেশকে একটা পরিণত করা হয়েছে ব্যর্থ রাষ্ট্রে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া পক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
এর আগে সকাল ৯ টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীমূলে পুস্পস্তবক অপর্ন করে বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান এবং কিছু সময়ে নিবরে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। বেলা ১০টায় নেতৃবৃন্দ আসেন শেরে বাংলানগরে। সেখানে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীদের নিয়ে তারা দলের জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। মাজার প্রাঙ্গনে জাতীয়তাবাদী উলামা দলের উদ্যোগে মরহুম নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতেও অংশ নেন নেতারা।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দলের চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। আমরা এরআগে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর মুক্তিযুদ্ধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।
তিনি বলেন, আজকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমরা শপথ গ্রহন করেছি যে. দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আমরা আন্দোলন করব, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আন্দোলন করব। দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে এসে এদেশের জনগনের মুক্ত করব।
এই দুইটি কর্মসূচিতে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, আদুস সালাম, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সেলিম রেজা হাবিব, খন্দকার আবু আশফাক, আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরের আহসান উল্লাহ হাসান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, যুবদলের মোরতাজুল করীম বাদরু, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ। অঙ্গসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে জিয়ার মাজারে পুস্পস্তবকও অর্পণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবস স্মরণে দল ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি সম্বলিত বিভিন্ন রঙের পোস্টার বের করা হয়েছে। কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে ক্রোড়পত্র। বুধবার বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে স্বাধীনতা র্যালী বের করবে বিএনপি।