২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সংরক্ষিত আসন থেকে যারা এমপি হলেন

সুবর্ণা মুস্তাফা - সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ৪১ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গত রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন : কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে হোসনে আরা, গাজীপুর থেকে রুমানা আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, নেত্রকোনা থেকে ছাবিশ রহমান খান (শেফালী), পিরোজপুর থেকে শেখ অ্যানি রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার, মুন্সীগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন নেসা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলীম, নরসিংদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঢাকা থেকে নাহিদ ইজহার খান, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, চট্টগ্রাম থেকে ওয়াসিকা আয়েশা খান, পটুয়াখালী থেকে কাজী কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে অ্যাডভোকেট গেøারিয়া ঝর্না সরকার, ঢাকা থেকে সুবর্ণা মুস্তাফা, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা, কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশিদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে সাবিনা আনজুম মিতা, কুমিল্লা থেকে আরমা দত্ত, খুলনা থেকে শিরিনা নাহার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরীয়তপুর থেকে পারভীন হক সিকদার, রাজবাড়ী থেকে খাদেজা নুসরাত, ঢাকা থেকে শবনম জাহান শিলা, চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার, নেত্রকোনা থেকে জাকিয়া পারভীন খানম, মাদারীপুর থেকে তাহমিনা বেগম, ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ ও জিন্নাতুল বাকিয়া।

 

পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়

অযাচিত উপদেশ দিয়ে বিএনপির উপদেষ্টা হতে চাচ্ছে ওবায়দুল কাদের- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়। ওনার (রিজভীর) কথার জবাব দেয়ার ইচ্ছা আমার নেই।’ 

গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় খালেদা জিয়ার কারাবাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার এক বছর কারাবাস। সরকার তো তাকে কারাগারে পাঠায়নি। কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, কাজেই এখানে সরকারের কিছুই করণীয় নেই। এটা আদালতের বিষয়, লিগ্যাল ম্যাটার। আদালতই তাকে মুক্তি দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আইনিভাবে বা আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারা বিএনপির দায়। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলা হয়েছে। এ মামলা নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে দোষারোপ করা একেবারে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আওয়ামী লীগ সরকার কোনোভাবেই এখানে জড়িত নয়।’
সরকারের হস্তক্ষেপ বেগম জিয়ার মুক্তিতে বাধা হচ্ছেÑ বিএনপির এমন অভিযোগ সম্পর্কে কাদের বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের ভাষায় বিএনপি এখন হাঁটু ভাঙা দল। নির্বাচনে পরাজয়ের পর তারা যেভাবে প্রলাপ বকছে তাতে মনে হয় ওনাদের মাথা বিগড়ে গেছে।’

বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন কোনো ইস্যুতে আন্দোলনের ডাক দিলে জনগণের কোনো সাড়া পাবে না। কারণ, দুর্নীতি আর সন্ত্রাসের জন্য দেশে বিদেশে তারা ইমেজ সঙ্কটে রয়েছে।’

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নানা মেরুকরণ হচ্ছে। ডাকসুতে মেরুকরণ অনুযায়ী সমীকরণ হবে। আমাদের প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠন যদি ঐক্যবদ্ধ-জোটবদ্ধ প্যানেল দেয় সেই অনুযায়ী আমরাও প্যানেল দেবো। সেখানে প্রতিপক্ষের মেরুকরণ অনুযায়ী আমাদের সমীকরণ হবে।


আরো সংবাদ



premium cement